জল্পনা চলছিল। সেটাই হল বৃহস্পতিবার দুপুরে। মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে সব দফতর থেকে অপসারিত করা হয়েছে। যে সম্ভাবনার কথা আগেই বলেছিল আজতক বাংলা। বিকেলে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান হল, শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স এবং পরিষদীয় দফতর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অব্যাহতি দেওয়া হল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের পর আপাতত তাঁর তিনটি দফতর সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,'পার্থদার কাছে থাকা দফতরগুলি আমার কাছে থাকবে। নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন না করা পর্যন্ত কিছু করা যাবে না।'
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শনিবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাল তাল সোনা, বিদেশি মুদ্রা এবং ৫০ কোটির কাছাকাছি নগদ। পার্থর গ্রেফতারির পর থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি করে আসছে বিরোধীরা। সরকারের উপর বাড়়ছিল চাপ। গতকাল বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে সোনা উদ্ধারের পর তৃণমূলের অন্দরেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবি করে টুইট করেন কুণাল। পরে ওই টুইট মুছে দেন। তৃণমূলের মুখপাত্র দাবি করেন,'আগের টুইটে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছিলাম। এ বার দল বিষয়টি ভেবে দেখছে। তৃণমূল ভবনে বিকেল ৫টায় বৈঠক ডেকেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাকে থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি দেখছে তৃণমূল তাই ব্যক্তিগত মতামতের টুইট মুছে দিলাম।' কুণালের বক্তব্য থেকে তখনই স্পষ্ট হয়েছিল, পার্থকে নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আজই বিকেল ৫টায় তৃণমূল ভবনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থর হাতে থাকা দফতর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার দলের তরফেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে খবর। তাঁকে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য ও মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন- পার্থর বারুইপুরের বাগানবাড়িতে মাঝরাতে প্রমাণ লোপাটে 'চুরি'?