ভোরে মা হীরাবেনকে হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই কলকাতায় আসা হয়নি তাঁর। ভার্চুয়ালি সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে উদ্বোধন করেন জোকা-তারাতলা মেট্রোর। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, পাঁচটির মধ্যে চারটি প্রকল্পই তাঁর রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শুরু হয়েছিল।
জোকা-তারাতলা মেট্রো তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান মমতা। বলেন,'মহাশয় আপনি খুশি হবেন তারাতলা-জোকা আমার স্বপ্নের প্রকল্প। আমি শিলান্যাস করেছিলাম। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলকেও আমন্ত্রণ করেছিলাম সেই সময়। তৎকালীন কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি জমি জোগাড় করে দিয়েছিলেন। আর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও ধন্যবাদ।'
মমতা মনে করিয়ে দেন,'ডানকুনি-শক্তিগড়, চাঁপদানি-বৈঁচি ও আমবাড়ি-ফালাকাটা। ২০১০ এবং ২০১১-১২ বাজেটে ছিল। কয়েকটি প্রকল্প ছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায়। চারটির মধ্যে পাঁচটিই আমার জমানার। আপনি উদ্বোধন করেছেন, তাতে আমি খুশি। বন্দে ভারত দিয়েছেন বাংলাকে। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
জলপাইগুড়ি স্টেশনের আধুনিকীকরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই পরিকল্পনাও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানান মমতা। তাঁর কথায়,'রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভিশন ২০১০ এবং শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিলাম। ওই ভিশনে ৫১টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে জলপাইগুড়িও ছিল।'
প্রধানমন্ত্রীর মাতৃবিয়োগে সমাবেদনা জানান মমতা। তিনি বলেন,'শোকের দিনে আপনাাকে ও আপনার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা পাচ্ছি না। মায়ের কোনও বিকল্প হয় না। আমি নিজের মাকে মনে করছি। ঈশ্বর আপনাকে কাজ করার শক্তি দিন। আপনার শোকের দিনেও এসেছেন। সেজন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন- মমতা ঢুকতেই 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান, মঞ্চেই উঠলেন না ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী