Advertisement

CPM Minakshi Saira Campaign: মমতার পাড়ায় মীনাক্ষী-সায়রাকে প্রচারে বাধা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি CPM সমর্থকদের

CPM Minakshi Saira Campaign: ১ জুন দেশের শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে শেষ রবিবারের প্রচারে দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। এদিন কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্রচার করতে যান তাঁরা।

মমতার পাড়ায় মীনাক্ষী-সায়রাকে প্রচারে বাধা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি CPM সমর্থকদের
Aajtak Bangla
  • কালীঘাট,
  • 26 May 2024,
  • अपडेटेड 12:54 PM IST

CPM Minakshi Saira Campaign: সিপিএমের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম সহ অন্যান্য় কর্মী সমর্থকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ কালীঘাটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রীটে। পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই রাজনৈতিক জমায়েত সম্ভব নয়। যদিও এই দাবি মানতে রাজি নয় সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি এখানে তৃণমূলের সভা দিব্যি হচ্ছে। অন্যদের বেলায় অন্য নিয়ম কেন?

১ জুন দেশের শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে শেষ রবিবারের প্রচারে দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। এদিন কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্রচার করতে যান তাঁরা। ওই পাড়াতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। পাড়ায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে দাবি পুলিশের। যদিও এটা মানতে চাননি সিপিএম কর্মীরা। তাঁরা ব্যারিকেড পার করে প্রচারে যেতে চান। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। এতেই শুরু হয়ে ধস্তাধস্তি। সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে পুলিশের। এমনকী ধাক্কাধাক্কিও হয়।

মীনাক্ষীর দাবি, প্রার্থী-সহ তিন জন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্যামফ্লেট বিলি করতে যাবেন বলায় পুলিশ আটকে দেয়। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় কেন প্রচার করা যাবে না, প্রশ্ন তোলেন DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, তাঁর পাড়াতেই গণতন্ত্রের এই হাল, কটাক্ষ মীনাক্ষীর। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই আটকানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

এদিন বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ মীনাক্ষী পুলিশের উদ্দেশে বলেন, এঁরা আপনাদের বাঁচাবেন না, দেখে নেবেন। কাল যদি বিপদে পড়েন, আপনাদের বাঁচাবে না কেউ। সব দায় আপনাদের ঘাড়ে ফেলা হবে। ডিসিপি সাউথ, অবজার্ভার এবং যে যেখানে আছেন, আপনাদের বিপদে ফেলার জন্য আছেন। এই জন্য পুলিশ শ্রদ্ধা হারাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। এরপর তাঁর বক্তব্য, "বাড়িতে উর্দি পরার সময় মেরুদণ্ডটাও লাগিয়ে নেবেন। নইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেছিলেন লিউকোপ্লাস্ট লাগাতে, আমাদের বলবেন, আমরা বাঁশ-দড়ি বাঁধতে জানি। বেঁধে দেব।" নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, "নির্বাচন কমিশন ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। চার বার ফোন করার পরও ধরা হল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া তাঁর জমিদারি নয়। পুলিশের ছাতা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো দু'পা হেঁটে দেখান পশ্চিমবঙ্গে।"

সংবাদমাধ্যমে সায়রাও অভিযোগ করেন, "আমার হাতে কিছুই নেই। তাও আটকানো হচ্ছে। তাও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না আমাকে।" শুরুতে পুস্তিকা বিলিতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম-এর নেতা-নেত্রীরা। পুলিশি বাধা পেয়ে পরবর্তীতে এলাকায় জনে জনে সেই পুস্তিকাই বিলি করতে দেখা যায় তাঁদের। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement