প্রদীপ ঘোষ প্রয়াত। দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, সোমবার বিকেলে প্রয়াত হয়েছেন। বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক মাস ধরে তিনি উত্তর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং শেষ দিকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
প্রদীপ ঘোষের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ছাত্রাবস্থা থেকেই, যখন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তবে ২০১৪ সালে দলীয় মতান্তরের কারণে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর আগে একবার তৃণমূলে যোগ দিলেও তিনি আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। প্রায় ২৫ বছর কলকাতা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। এখন তাঁরই পুত্র সজল ঘোষ ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর।
শুধু রাজনীতিক হিসাবেই নয়, কলকাতায় দুর্গাপুজোর জাঁকজমকের শুরুর দিন থেকেই তাঁর ভূমিকা ছিল। এখন সজলের পুজো হিসাবে পরিচিত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোয় একটা সময় পর্যন্ত কর্ণধার ছিলেন প্রদীপই।
ছাত্রজীবন থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দলের সঙ্গে মতান্তর হওয়ায় প্রদীপ ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। এর আগে এক বার তৃণমূলে যোগ দিলেও পরে ফিরে আসেন কংগ্রেসে। কিন্তু ২০১৪ সালে কলকাতা উত্তর লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী সোমেন মিত্র তৃতীয় স্থানে চলে আসায় প্রদীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কংগ্রেসের অন্দরে। সেই সময়েই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। একটা সময় পর্যন্ত বলা হত মধ্য কলকাতার পুরসভার ৪৮, ৪৯, ৫০ এবং ওয়ার্ডে কংগ্রেসের হয়ে প্রদীপই শেষ কথা।
জানা গেছে বিভিন্ন বয়সজনির রোগে ভুগছিলেন প্রদীপ ঘোষ। গত তিন মাস উত্তর কলকাতার একটি বেসরকারি হসাপাতালে ভর্তি ছিলেন। শেষ দিকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। সোমবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে দেহ বাড়িতে আনা হবে।