কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে ভারতীয় শাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। এবার ভারতে একই ধরনের ঘটনা। পাল্টা প্রতিবাদ হিসাবে পোড়ানো হলো ঢাকাই জামদানি। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে, ঢাকাই জামদানি পোড়ানোর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাল 'বাঙালি হিন্দু বাঁচাও সমিতি'। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাসে। বিক্ষোভে মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।
এক বিক্ষোভকারী জানান, বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, ইসকনের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে এবং সাধুসন্তদের জেলে পাঠানো হচ্ছে, তার প্রতিবাদেই এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, 'যতদিন না এসব আক্রমণ বন্ধ হচ্ছে, ততদিন করুণাময়ীতে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে। মা-বোনেদের প্রতি অনুরোধ করছি, ঢাকাই জামদানি পরা থেকে বিরত থাকুন। আমরা ঢাকাই জামদানিকে বয়কটের ডাক দিচ্ছি।'
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভি নিজের স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পোড়ানোর মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তিনি ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'যাঁরা আমাদের জাতীয় পতাকা ছিঁড়েছে, তাঁদের পণ্য আমরা ব্যবহার করব না। আমাদের মা-বোনেরা আর ভারতীয় শাড়ি পরবেন না। ভারতীয় সাবান বা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না।'
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বনির্ভর দেশ, এবং যা প্রয়োজন তা নিজেরাই উৎপাদন করতে সক্ষম। তাঁর মতে, ইন্ডিয়ান পণ্যকে বর্জন করাই শক্তিশালী জবাব এবং দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার সঠিক পথ। রিজভি অভিযোগ করেন যে, মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ অত্যাচারীদের বরাবর পরাজিত করেছে এবং কখনো কারো কাছে মাথা নত করবে না।'