Advertisement

Sanatan Dinda: 'বোন নিহত তিলোত্তমা দিন্দা,' পোস্ট করে বড় পদক্ষেপ ঘোষণা সনাতন দিন্ডার

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়লেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। ফেসবুকে পোস্ট করে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সনাতন। দীর্ঘদিন রাজ্য চারুকলা পর্ষদের কার্যকরী সদস্য ছিলেন সনাতন।

বোন নিহত ‘তিলোত্তমা’, এবার চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়লেন সনাতন দিন্ডাবোন নিহত ‘তিলোত্তমা’, এবার চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়লেন সনাতন দিন্ডা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Sep 2024,
  • अपडेटेड 2:46 PM IST
  • রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়লেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা
  • ফেসবুকে পোস্ট করে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সনাতন

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়লেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। ফেসবুকে পোস্ট করে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সনাতন। দীর্ঘদিন রাজ্য চারুকলা পর্ষদের কার্যকরী সদস্য ছিলেন সনাতন। তিনি লিখেছেন, 'আমি সনাতন  দিন্ডা । পিতা স্বর্গত শ্রী রতি কান্ত দিন্ডা , মাতা স্বর্গত শ্রীমতি পারুল দিন্ডা , বোন নিহত ‘ তিলোত্তমা’দিন্ডা । আদি নীবাস ‘কুমারটুলী’ আর. জি. কর হাসপাতাল সংলগ্ন প.ব।দীর্ঘ দিন ‘রাজ্য চারু কলা পর্ষদের ‘কার্যকারী সদস্য ছিলাম । দীর্ঘ অনুপস্থিত এবং আমার কোনো ভূমিকা সেখানে ছিল না । তার পরও এখানকার সদস্য পদ থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম 🙏।' (অসম্পাদিত)

এখানেই শেষ নয়, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অনেকেই কমেন্ট করতে থাকেন। একজনকে জবাবে সনাতন আরও লেখেন, 'এই পর্ষদে অনেক গন্য মান্য প্রোথিত যশা শিল্পী আছেন যাঁদের এই ‘ তিলোত্তমা’র প্রতি বর্বরোচিত নৃশংস খুনের কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখলাম না । তাঁদের এই দুসময়ে উদাসীন , নীরব থাকাটাও আমার চেতনার আঘাত করছে ….. আমি খুব সাধারন সহনাগরিক , সচেতন শিল্পী হয়ে ওনাদের সাথে নাই বা থাকলাম । তাছাড়া আমি দীর্ঘ কাল অনিয়মিত সদস্য । তবে এটা একটা ব কলমে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত কোনো মতেই নয় । এখানে যে কোনো প্রোগাম অনুষ্ঠিত হলে সব বিজ্ঞাপনে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্ররনায় সেটা উল্ল্যেখ থাকে । তো কি করে বলা যায় এটা স্বশাসিত পরিষদ? কার্যকরী কমিটির যা কিছু অনুমোদন , সবটাতেই সরকারী শীলমোহর পরে । বাকী যা কিছু এখানে না লেখাই শ্রেয় …. আমি এই মুহুর্ত আমাদের এই সেখা লেখি করে ‘তিলোত্তমা’ হত্যার সুবিচারের আন্দোলনের গতিমুখ পরিবর্তন করতে দেবো না ।' (অসম্পাদিত)

আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রথিতযশা নাট্যকার চন্দন সেন। ২০১৭ সালে নাটকের জগতের সর্বোচ্চ সম্মান 'দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার' পেয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া সেই পুরস্কারই ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চন্দন। এনিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রশ্ন করলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে এমন ঘটে থাকলে পুরস্কার ফেরত দিতেন তো? আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে কাঞ্চন মল্লিকের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চন্দন সেন। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিবের কাছে ই-মেল মারফত তা জানিয়েও দিয়েছেন। এ দিন চন্দন বসুর রাজনৈতিক পরিচয় উস্কে পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিরপেক্ষতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়,'খালি বলব, তিনি নির্বাচনে বাম প্রার্থী ছিলেন। নাট্য অ্যাকাডেমির তরফে বলতে পারি, বাম প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার তাঁর ক্ষেত্রে কোনও বাদবিচার করেনি। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্বকে বিচার করা হয়েছে। তিনি বামপ্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও সম্মান জানিয়েছিলাম। আমরা তাঁর ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বিচার করিনি'।

Advertisement

আরও পড়ুন

চন্দনের পথে হেঁটেছেন নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার ফেরালেন সুদীপ্তা। পুরস্কার ও পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ৩০ হাজার টাকাও ফেরাচ্ছেন নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বঙ্গরত্ন প্রতাখ্যান করেছেন আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট লেখক সাহিত্যিক পরিমল দে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement