প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর আগে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমানো দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এবছরও তাঁর অন্যথা হল না। পরিবহণ দফতরের তরফে কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে চালু হবে বিশেষ পুজো পরিক্রমা প্যাকেজ। যার আওতায় থাকছে দর্শনার্থীদের জন্য বাস ও লঞ্চ পরিষেবার বিশেষ ব্যবস্থা।
বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে বিশেষ ভলভো বাস
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলো ঘুরে দেখার জন্য এ বছর চালানো হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভলভো বাস। প্রতিদিন সকাল ৮টায় এসপ্ল্যানেড বাস ডিপো থেকে ছাড়বে এই বাস। জনপ্রতি ভাড়া ধার্য হয়েছে ২২০০ টাকা। যার মধ্যে সকালের ও দুপুরের খাবারও রয়েছে।
গঙ্গায় লঞ্চে জয়রাইড
উৎসবের আবহে হুগলি নদীতে ভ্রমণের ব্যবস্থাও করেছে পরিবহণ দফতর। সকাল ১১টায় মিলেনিয়াম পার্ক থেকে লঞ্চ ছেড়ে প্রথমে হাওড়া জেটি ঘুরে আহিরিটোলা ঘাটে পৌঁছবে। সেখান থেকে দর্শনার্থীদের বাসে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পুজো ঘুরিয়ে দেখানো হবে। এই ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি ৯০০ টাকা। সময় লাগবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।
কোন কোন পুজো ঘুরে দেখা যাবে?
কলকাতার মধ্যেই ভলভো বাসে ঘুরে দেখা যাবে শহরের সেরা পুজোগুলি যেমন, একডালিয়া এভারগ্রিন, সিংহি পার্ক, বাদামতলা আশার সংঘ, মুদিয়ালি, শিবমন্দির, মোহাম্মদ আলী পার্ক, কলেজ স্কোয়ার, বাগবাজার সর্বজনীন, বাগবাজার ইত্যাদি।
অন্যজেলার জনপ্রিয় পুজোতেও বাস
শুধু কলকাতার মধ্যেই নয়, ভলভো বাসে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে বিভিন্ন জেলার জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপেও। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, বাঁকুড়ার জয়রামবাটি এবং হুগলির কামারপুকুর। এসপ্ল্যানেড থেকে ভলভো বাস ভ্রমণের ভাড়া ২২০০ টাকা। বারাসত থেকে ভাড়া ২৩০০ টাকা।
এছাড়া এসপ্ল্যানেড থেকে নন-এসি বাসে জয়রামবাটি ভ্রমণের ভাড়া রাখা হয়েছে মাত্র ৮০০ টাকা। ফিরতি পথে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে কামারপুকুর। বসিরহাট ভ্রমণের ভাড়া হবে ২২০০ টাকা।
টিকিট কোথায় পাওয়া যাবে?
প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে www.wbtconline.com -এ। পাশাপাশি টিকিট কিনতে পারবেন শহরের বিভিন্ন কাউন্টার থেকেও। যেমন, এসপ্ল্যানেড, যাদবপুর, বেহালা ১৪ নম্বর বাস টার্মিনাস। শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো। আরএন মুখার্জি রোডের পরিবহন ভবন।
পরিবহণ দফতরের বার্তা
পরিবহণ দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোয় বহু মানুষ শহর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখতে চান। তাঁদের সুবিধার জন্য এই বিশেষ পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যাত্রীদের আরাম, খাবার এবং সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই সব পরিকল্পনা করা হয়েছে।