রামনবমী মিছিলে হিংসা নিয়ে ফের সবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাম নবমীর মিছিলে অস্ত্র কেন ? সেই প্রশ্ন তুললেন তিনি। সোমবার নবান্ন চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি রাম নবমীর হিংসার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি-কে আক্রমণ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রথম দিকে ওরা এত অস্ত্র নিয়ে এসেছিল, পুলিশ যদি দুপক্ষকে বন্ধ করত, যখন এক পক্ষ আর এক পক্ষকে আক্রমণ করল, তখন পুলিশ পদক্ষেপ করলে একাধিক জনের মৃত্যু হতে পারত। তাই সেই সময় পুলিশ একটু ট্যাগফুলি খেলেছে। এবং তারপরই আস্তে আস্তে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ফিরে এসেছে।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে এই নিয়ে। তাই আমি বলব না। তবে পুলিশ সেদিন অনুমতি দেয়নি। তবে আবেদনপত্রে উল্লেখ ছিল, মিটিং হবে দুপুরে। ওরা তা মানেনি। নমাজের সময়ই তারা যায় ওখানে। বিজেপি অস্ত্র হাতে ছিল সেই মিছিলে। ওদের সঙ্গে বুলডোডারও ছিল। আপনারাই আমাকে বলুন, একটা ধর্মীয় মিটিংয়ে কেন অস্ত্র থাকবে?কেন বুলডোজার থাকবে? এগুলো সবই তো বেআইনি। মুঙ্গের থেকে লোক এনেছিল ওদের। আমাদের এখানকার লোক ওরা নয়। বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আমাদের এখানকার লোকেরা দাঙ্গা করে না। সম্প্রীতিই তাদের সংস্কৃতি।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'সেই এলাকাকে এখন শান্ত করতে এসেছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং টিম। এটা কী ? খায় না মাথায় দেয়? সব ব্যাপারেই হিউম্যান রাইটস, মহিলা কমিশন। শিশু কমিশন কেন ? গণতন্ত্র কোথায় ?'
যদিও মুখ্যমন্ত্রীস অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'সাগরদিঘিতে হেরে যাওয়ার কারণে, সংখ্যালঘু মুসলমানদের ভোট চলে যাওয়ার কারণে, এই দাঙ্গা তৃণমূল করেছে। কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষ একাজ করেনি। দাঙ্গাবাজ হল এই তৃণমূল। দাঙ্গার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হনুমান জয়ন্তীতে একটাও ঘটনা ঘটেনি।'