আরজি করে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন-ধর্ষণের মামলায় শনিবার দোষী সাব্যস্ত করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সোমবার সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা হবে, কী শাস্তি হয় তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। সোমবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের মা বলছেন, ছেলে যদি দোষী হয় তবে তার প্রাপ্য শাস্তি হওয়া উচিত, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও।
৭০ বছরের মহিলা বলছেন যে তিনি "একা কাঁদবেন" তবে এই শাস্তিকে নিয়তি বলে মেনে নেবেন। মালতি রায় বললেন, 'দোষী হলে ছেলেকে ফাঁসি দেওয়া হোক, আমার কোনও আপত্তি নেই।' উল্লেখ্য, এর আগে রায় ঘোষণার পরপরই সঞ্জয় রায় আদালতেই ফের একবার দাবি করেছিল, সে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়। এমনকী সে এমনও দাবি করেছিল, আইপিএস অফিসাররা তাকে যা বলতে বলেছিল, সে সেটাই বলেছিল সেই সময়। তবে বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, সিবিআইয়ের পেশ করা তথ্যপ্রমাণে তিনি সন্তুষ্ট। এই আবহে সঞ্জয়কে সাজা পেতেই হবে। সেই রায়ের পর সঞ্জয়ের বোন জানিয়েছিলেন, রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন না। আর এবার ছেলের সাজা নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জয়ের মা।
শিয়ালদা আদালত থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বেই থাকেন সঞ্জয়ের মা। গত শনিবার এই শিয়ালদা আদালতই আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করে। এই আবহে সঞ্জয়ে মা জানান, যদি ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা হত, তাহলে তিনি শুনানিতে অংশ নিতেন। তিনি বলেন, 'আমার শরীর খারাপ। যদি ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা হত, তাহলে আমি শুনানিতে যেতাম।' আরজি করের নির্যাতিতার মায়ের প্রতি নিজের সহানুভূতিও ব্যক্ত করেন সঞ্জয়ের মা। তিনি বলেন, 'সেই ডাক্তারের মায়ের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারছি। সেই ডাক্তার আমার মেয়ের মতোই।' সঞ্জয় ছাড়াও নিজের তিন মেয়ে রয়েছে সঞ্জয়ের মায়ের, তার মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে কিছু বছর আগেই। তাই নির্যাতিতার মায়ের যন্ত্রণাও যেন ভাগ করে নিতে চাইলেন। পাশাপাশি সাজা প্রসঙ্গে সঞ্জয়ের মা বলেন, 'যদি আদালত ফাঁসির সাজা দেয়, তা হলে আমার কোনও আপত্তি নেই, যেহেতু আইনের চোখে ও অপরাধী। আমি একা কাঁদব, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস হিসাবে মেনে নেব।'