আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার খবর দেওয়ার ফোন কল প্রকাশিত হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ফোন কলের অডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'। রাতে হাসপাতালে কর্মরত ওই চিকিৎসকের পরিবারকে প্রথমে হাসপাতাল থেকে জানান হয় যে, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। পরে বলা হয় গুরুতর অসুস্থ। এরপরের ফোনে বলা হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানান নয়, আত্মহত্যা নয়, বরং তাঁকে যৌন অত্যাচারের পর হত্যা করা হয়েছে।
জেনে নিন ফোনে কী কথা হয়েছিল-
প্রথম ফোন কল: অসুস্থতার খবর
প্রথম অডিওতে হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে জানান, তাঁর শরীর খারাপ। কিন্তু হাসপাতালের কর্মকর্তারা সঠিকভাবে কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করতে নারাজ।
নির্যাতিতার বাবা: "কী হয়েছে সেটা বলবেন তো!"
অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: "ওর শরীরটা খারাপ। আপনাদের আসতে হবে।"
দ্বিতীয় ফোন কল: গুরুতর অসুস্থতার খবর।
দ্বিতীয় ফোন কলের সময়, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আরও গুরুতর অবস্থার কথা জানান:
নির্যাতিতার বাবা: "কী হয়েছে বলুন।"
অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: "ওঁর অবস্থা খুবই খারাপ। তাড়াতাড়ি আসুন।"
তবে এখনও কিছু বিস্তারিত জানানো হয়নি।
তৃতীয় ফোন কল: আত্মহত্যার তথ্য
তৃতীয় ফোন কলের সময়, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার দাবি করেন যে চিকিৎসক সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন:
অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: "আপনার মেয়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছে বা মারা গিয়েছে। পুলিশ রয়েছে।"
এই সময়ে নির্যাতিতার পরিবারকে সঠিক তথ্য না জানিয়ে আতঙ্কিত করে তোলা হয়।
আইসিআরজি করের প্রতিক্রিয়া
আইসিআরজি করের কাছে ফোন করে তিলোত্তমার মা জানতে চান তার অবস্থা সম্পর্কে, কিন্তু তারাও সঠিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি:
নির্যাতিতার মা: "কেমন আছে শরীর?"
আইসিআরজি কর: "আপনারা আসুন, কথা হবে।"
প্রশ্ন উঠেছে, আরজি কর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কি নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি যথাযথ আচরণ করেছে?