Advertisement

RG Kar Medical College and Hospital: ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তাল আর জি কর, অধ্যক্ষের বদলিতে শান্তনুকে ঘিরে বিক্ষোভ

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একদল ছাত্র বুধবার কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে টালা থানায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, করেছেন যে তাঁরা সিনিয়র ছাত্রদের দ্বারা "মানসিক আঘাত, মৌখিক অপব্যবহার, জাতিগত বৈষম্য এবং শারীরিক নির্যাতনের" সম্মুখীন হয়েছেন।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Sep 2023,
  • अपडेटेड 3:12 PM IST
  • আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একদল ছাত্র বুধবার কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে টালা থানায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
  • ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, করেছেন যে তাঁরা সিনিয়র ছাত্রদের দ্বারা "মানসিক আঘাত, মৌখিক অপব্যবহার, জাতিগত বৈষম্য এবং শারীরিক নির্যাতনের" সম্মুখীন হয়েছেন।

র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তাল হল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অধ্যক্ষের বদলি হওয়া নিয়ে পড়ুয়েদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেন আরজিকর হাসপাতালে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। অভিযোগ, তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বদলির নির্দেশ জারি হতেই শুরু হয় টালবাহানা। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য ভবন আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে এই মুহূর্তে অব্যাহতি (ডিমড রিলিজ়) দেওয়া হল।

সোমবার রাত থেকেই সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ পড়ুয়ারা বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক জন প্রাক্তনী ও বহিরাগতও ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁরা দাবি তোলেন, সন্দীপ ঘোষকে ছাড়া হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে তাঁদের আস্থা আছে। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ওই পড়ুয়ারা কী ভাবে সরকারের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন সকালেও বিক্ষোভ চলায় মানস অধ্যক্ষের অফিসে ঢুকতে পারেননি। অগত্যা সুপারের অফিসে গিয়ে বসে থাকেন। সূত্রের খবর, সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই। দু’জনের ‘অম্লমধুর’ সম্পর্কের কথা অনেকেরই জানা।

অন্যদিকে, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একদল ছাত্র বুধবার কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে টালা থানায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, করেছেন যে তাঁরা সিনিয়র ছাত্রদের দ্বারা "মানসিক আঘাত, মৌখিক অপব্যবহার, জাতিগত বৈষম্য এবং শারীরিক নির্যাতনের" সম্মুখীন হয়েছেন।

এমবিবিএস-এর শেষ বর্ষের কয়েকজন সহ ছাত্রদের একটি দলকে কলেজ ক্যাম্পাস এবং প্রধান ছেলের হোস্টেলে "প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের পিছনে এবং কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জুনিয়রদের "যন্ত্রণা" এবং "গালাগালি" করার অভিযোগ করা হয়েছে। "

Advertisement

মানিকতলায় আরজি কর মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের কিছু বাসিন্দা বুধবার ভোরে ১৩ জন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে "র‌্যাগিং", "মানসিক নির্যাতন", "হয়রানি" এবং "ভীতি প্রদর্শন" করার অভিযোগ দায়ের করার কয়েক ঘন্টা পরে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পর পর অভিযোগগুলি সন্দীপ ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নতুন অধ্যক্ষ মানস কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ার পর উঠছে। ১১ সেপ্টেম্বর, সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ছাত্রদের একাংশের বিক্ষোভের কারণ হয়। টালা থানায় দায়ের করা অভিযোগে, ছাত্ররা জানিয়েছেন, ১২ সেপ্টেম্বর কেবি বয়স হোস্টেলে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করা হয়েছিল এবং এমনকি "বিরাট পরিণতির" হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বয়েজ হোস্টেল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। এ বার র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলেও। ছাত্রাবাসে তাঁদের উপর মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আরজি করের কিছু পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

গত বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মিনজারুল চৌধুরী-সহ কয়েক জন পড়ুয়া। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, মানিকতলা ক্রসিংয়ে কাছে এপিসি রোডের উপর যে ছাত্রাবাসটি রয়েছে, তাঁরা সেখানেই থাকেন। সেখানেই তাঁদের র‌্যাগিং করা হয়েছে। হস্টেলের কয়েক জন প্রাক্তন আবাসিক, কর্মী এবং আরজি করের ইন্টার্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, বুধবার রাতে হস্টেলে তাঁদের উপর মানসিক অত্যাচার চলেছে। রাত ৩টে নাগাদ হস্টেলের দরজা বন্ধ করে র‌্যাগিং করা হয়েছে তাঁদের উপর। পুলিশ সূত্রে খবর, র‌্যাগিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement