আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ যেন আরও বাড়ছে। আরও ২ জন শুক্রবার থেকে অনশন শুরু করেছেন। সিনিয়ররা তাঁদের সঙ্গে আছেন। সেই প্রমাণ আগেই একাধিকবার মিলেছে। এবার তাঁদের একাংশ পেন ডাউনের সিদ্ধান্ত নিলেন। ১৪ ও ১৫ তারিখ পেন ডাউন করবেন ওই ডাক্তাররা। তাঁদের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালের যে সব 'নন এসেনসিয়াল' পরিষেবা দেওয়া হয় সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন।
এই নিয়ে এক চিকিৎসক বলেন, 'সিকে বিড়লা গ্রুফ অফ হসপিটালস, উডল্যান্ড হসপিটালস ও কোঠারি হাসপাতালে অনেক সিনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। আমরা ঠিক করেছি ১৪ ও ১৫ অক্টোবর আমরা নন এসেনসিয়াল যে সার্ভিস ডাক্তাররা প্রোভাইড করে সেটা থেকে বিরত থাকব। অর্থাৎ আমরা পেন ডাউন করছি ১৪ ও ১৫ তারিখ। ১৫ তারিখের পর আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব তা ঠিক হবে বৈঠকের পর। সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। জুনিয়র ডাক্তাররা সরকার ও প্রশাসনের কাছে যে দাবিদাওয়া জানিয়েছে তার কতটা পূর্ণ হল, কতটা হল না।'
এর পূর্বে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে দেশজুড়ে ১০ মিনিটের জন্য ‘পেন ডাউন’ পালন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আউটডোরের বাইরে আধঘণ্টার জন্য তৈরি করেছিলেন মানবশৃঙ্খল। হুগলি জেলা হাসপাতালেও পেন ডাউন করে দেখিয়েছিলেন ডাক্তাররা।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন ডাক্তাররা। তাঁরা সাফ জানিয়েছিলেন দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। যত দিন যাচ্ছে ততই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে। আন্দোলনের প্রথন দিন থেকেই সাধারণ মানুষকে পাশে পেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুজোর সময়ও বহু সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা ধর্মতলায় জমায়েত করছেন। পুজোর মধ্যে একাধিক মিছিলও হয়েছে আন্দোলনের সমর্থনে।
কয়েকদিন আগেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। প্রায় তিন ঘণ্টা সেই বৈঠক হয়। তবে জট কাটেনি। এরইমধ্যে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রবিবার একাদশীর দিনে একবেলা অরন্ধন পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।