Advertisement

RG Kar Junior Doctors Protest: জুনিয়র ডাক্তার-ক্ষোভে 'রাজনীতি' দেখছে নবান্ন, ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত চন্দ্রিমার

ঘটনা বেদনাদায়ক ও নিন্দাজনক। আমরা নিন্দা করি। রাজ্য বিধানসভায় বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। গতকাল থেকে আলোচনা নিয়ে টানাটানি হয়েছে। সাধারণ গরিব মানুষ পরিষেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, সেজন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ, চন্দ্রিমা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 11 Sep 2024,
  • अपडेटेड 8:19 PM IST
  • আমরা খোলামেলা আলোচনা চেয়েছিলাম।
  • কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না।
  • নবান্নে বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

বুধবারও জট কাটল না! স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান অব্যাহত জুনিয়র ডাক্তারদের। সন্ধে ৬টায় আলোচনার জন্য় নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব। কিন্তু ৫ দফা দাবি করে পাল্টা ইমেল পাঠান জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই শর্ত মানতে চায়নি নবান্ন। সন্ধে সাড়ে ৭টায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন,'মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে চেয়েছিলেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন সন্ধে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না। আমরা খোলামেলা আলোচনা চেয়েছিলাম।' সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দেন চন্দ্রিমা।     

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মান্যতা দিয়ে কি ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। এই প্রশ্নে চন্দ্রিমা জানান,'৫টা বেজে যাওয়ার পর কোনও পদক্ষেপ নেননি মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে, আমাদের মান্যতা দিতে হবে। আবারও বলতে চাই, রোগীর পরিষেবা বঞ্চিত করা যাবে না। রাজনৈতিক প্ররোচনায় যাবেন না। আপনাদের যেটা করণীয়, যার জন্য এই মহতী পেশায় এসেছেন, মাননীয় সর্বোচ্চ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তা পালন করুন। আসুন খোলা মনে আলোচনা করুন। শর্ত দিয়ে নয়'। ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? চন্দ্রিমার জবাব,'আমরা সুপ্রিম কোর্টকে মান্যতা দিচ্ছি। কী করা হবে, না হবে আপনারা দেখতে পারবেন'।

যে শর্তগুলি রাজ্য সরকার মানতে নারাজ বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়,'গতকাল থেকে আলোচনা নিয়ে টানাটানি চলছে। সাধারণ গরিব মানুষ পরিষেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, সেজন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কাল ৬টা ১০-এ একটা মেইল গিয়েছিল। সেই মেল যাওয়ার পরেও নানারকম কথা বলে কেউ আসলেন না। সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এখানে বসেছিলেন। সেই মেলের পাল্টা মেল আসল ভোর ৩টে ৪৫ মিনিটে। সিএমও-তে ৩টে ৪৫ মিনিটে মেল আসা স্বাভাবিক? এর পিছনে কি রাজনীতি লুকিয়ে আছে! তারপর মুখ্যসচিব তিনটেয় মেল করে ৬টায় আসার কথা বললেন ১২ থেকে ১৫ জন প্রতিনিধিকে। সেই মেলের উত্তর রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে, শর্তসাপেক্ষে নয়। এর পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। তাই শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছে'।

Advertisement

মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত বলেন,'দুঃখের সঙ্গে বলছি, ইমেলের প্রেক্ষিতে ইতিবাচক সাড়া পাইনি। ইতিমধ্যে একটা ইমেল পেয়েছি, তাতে লেখা আছে, ৫টি দাবি মানতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম খোলামেলা আলোচনা হবে। ওদের উদ্বেগ আমরা জানতে চেয়েছিলাম। ওদের সাড়া না মেলায় বৈঠক করতে পারিনি। যে শর্তগুলি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি মানা হলে আলোচনা হবে, এটা ঠিক নয়। খোলামেলা আলোচনা চেয়েছিলাম। ওদের তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া চাইছি'।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement