আরজি কর ইস্যুতে আমরণ অনশন প্রত্য়াহার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন নির্যাতিতার বাবা। কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এই দাবি করেছেন। মঙ্গলবার অমিত শাহকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।
অমিত শাহকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠিটির বয়ান শুরু হয়েছে। চিঠিতে অভয়ার বাবা লিখেছেন, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। যেখানে সময় দেবেন সেখানেই তিনি সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। তিনি বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা চান বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
অভয়ার মৃত্যুর পর থেকে ওই দম্পতির মনের অবস্থা ভালো নেই। তাঁরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। অসহায় বোধ করছেন। তাই কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে চান। গোটা ঘটনা নিয়ে অমিত শাহ বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কী ভাবছে তাও জানতে চান নির্যাতিতার বাবা। চিঠিতে উল্লেখ, অমিত শাহ তাঁকে যেখানে সময় দেবেন সেখানেই দেখা করবেন। এই আবেদন যেন মঞ্জুর করা হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্য়ে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তবে তিনি আসছেন না। বুধবার তিনি রাজ্যে এলে হয়তো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তিনি আসছেন না এই পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ দেখা করতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্য়ে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তবে তিনি আসছেন না। বুধবার তিনি রাজ্যে এলে হয়তো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তিনি আসছেন না এই পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ দেখা করতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ। আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলন দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জুনিয়র ডাক্তার ও নাগরিক সমাজ আন্দোলন শুরু করে। হাসপাতালগুলিতে তা ছড়িয়ে পড়ে। কর্মবিরতিও পালিত হয়। হাসপাতাল বা চিকিৎসাক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য ১০ দফা দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই দাবি নিয়ে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে। একাধিকবার আলোচনা হয়। একসময় তো দাবি আদায়ে আমরণ অনশনও শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই অনশন ১৭ দিন ধরে চলে। গতকাল সোমবার ১৭ তম দিনে সেই অনশন ওঠে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরই।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, নির্যাতিতার বাবা-মা ও নাগরিক সমাজের অনুরোধে তাঁরা এই আমরণ অনশন তুলে নিচ্ছেন। তবে দাবির জন্য তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ঠিক সেই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।