আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রথিতযশা নাট্যকার চন্দন সেন। ২০১৭ সালে নাটকের জগতের সর্বোচ্চ সম্মান 'দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার' পেয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া সেই পুরস্কারই ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চন্দন। এনিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রশ্ন করলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে এমন ঘটে থাকলে পুরস্কার ফেরত দিতেন তো?
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে কাঞ্চন মল্লিকের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চন্দন সেন। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিবের কাছে ই-মেল মারফত তা জানিয়েও দিয়েছেন। এ দিন চন্দন বসুর রাজনৈতিক পরিচয় উস্কে পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিরপেক্ষতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়,'খালি বলব, তিনি নির্বাচনে বাম প্রার্থী ছিলেন। নাট্য অ্যাকাডেমির তরফে বলতে পারি, বাম প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার তাঁর ক্ষেত্রে কোনও বাদবিচার করেনি। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্বকে বিচার করা হয়েছে। তিনি বামপ্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও সম্মান জানিয়েছিলাম। আমরা তাঁর ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বিচার করিনি'।
চন্দন বসু পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর তাঁর বাড়িতে যান সজল ও কৌস্তভরা। সেই কথাও উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন,'প্রত্যাখ্যান কেউ করতেই পারেন। যিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাঁর বাড়ি গিয়ে বিজেপির প্রতিনিধিদল ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমিও তাঁকে ধন্যবাদ জানাব'। সেই সঙ্গে ব্রাত্যর সংযোজন,'কেন্দ্রীয়স্তরেও এমন নক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে। তখন কেন্দ্রীয় পুরস্কার থাকলে সেটা যেন তাঁরা ফেরত দেন'।
আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদীদের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। পরে তিনি ক্ষমাও চান। ওই মন্তব্যের পরই পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বর্ষীয়ান নাট্যকার চন্দন সেন। তিনি বলেন,'রাজ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। চিকিৎসকদের আন্দোলনের শরিক। আমার বাবা ৪০ বছর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। আমিও যন্ত্রণার শরিক'।