প্রথমে গিয়েছিলেন রিষড়ায়। তারপর সেখান থেকে সরাসরি এসএসকেএম-এ (SSKM) গিয়ে আহতের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবারের পর সোমবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় হুগলির রিষড়ায়। অশান্তিতে আহত বিজয় মালি নামে এক ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে। মঙ্গলবার তাঁকে দেখতে যান রাজ্যপাল।
আহতের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বলেন, "আমি হাসপাতালে এসেছিলাম, আহতের সঙ্গে দেখা করেছি। মাথায় আঘাত রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। টোকেন হিসেবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। দষ্কৃতীদের শাস্তি হবে"।
এর আগে এদিন রিষড়ায় গিয়েও কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। দুবৃত্তদের হাতে আইন তুলে নিতে দেব না। বাংলার মানুষের অধিকার রয়েছে শান্তিতে থাকার। শান্তি ফেরানো হবে। দুবৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করা হবে"। এছাড়াও গতকাল রাতে অশান্তির সময় কত পুলিশ ছিল, এখন কত পুলিশ আছে, সেই সমস্ত বিষয়েও পুলিশ কর্তাদের থেকে খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রিষড়ায় পৌঁছান রাজ্যপাল। সোমবার রাতে যেখানে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছিল, সেই ৪ নং রেলগেটের কাছেও যান তিনি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। কোথায় কী ঘটেছে, এখন কেমন পরিস্থিতি, সেই সমস্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি জানতে চান আনন্দ বোস। পুলিশ কমিশনারও তাঁকে রিপোর্টের আকারে বিস্তারিত জানান। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর রেলের অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, রবিবারের পর সোমবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়া। ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথরবৃষ্টি, বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশের তরফে বিপুল বাহিনীকে রাস্তায় নামানো হয়। নামানো হয় ব়্যাফও। এই ঘটনার জেরে হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয় ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন - নতুন করে উত্তপ্ত রিষড়া, বোমাবাজি-পাথরবৃষ্টির অভিযোগ; দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত রেল চলাচল