Advertisement

Rohingya: শিয়ালদায় ২ নাবালিকা সহ বাংলাদেশি রোহিঙ্গা গ্রেফতার, কাশ্মীরে পাচারের ছক

শনিবার সকালে কলকাতায় দুই নাবালিকা এবং একজন ৩১ বছর বয়সী পুরুষসহ তিনজন রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এই গ্রেফতারের ফলে মানব পাচারের একটি সম্ভাব্য নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকার বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 19 Jan 2025,
  • अपडेटेड 10:33 PM IST
  • শনিবার সকালে কলকাতায় দুই নাবালিকা এবং একজন ৩১ বছর বয়সী পুরুষসহ তিনজন রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • এদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে কলকাতায় দুই নাবালিকা এবং একজন ৩১ বছর বয়সী পুরুষসহ তিনজন রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এই গ্রেফতারের ফলে মানব পাচারের একটি সম্ভাব্য নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকার বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

শিয়ালদা স্টেশনে সন্দেহ
ঘটনাটি সামনে আসে যখন শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ রেলস্টেশনের একাধিক প্ল্যাটফর্মে টিকিট পরীক্ষকরা তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। বৈধ টিকিট দেখাতে অক্ষম হওয়ায়, তাদের প্রথমে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (RPF) এবং পরে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশের (GRP) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযুক্তদের পরিচয় এবং উদ্দেশ্য
জিজ্ঞাসাবাদে, ৩১ বছর বয়সী ব্যক্তি নিজেকে আবদুল রহমান নামে পরিচয় দেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, প্রায় ১২ বছর বয়সী দুই নাবালককে কাজের অজুহাতে আবদুল কাশ্মীরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আটক হওয়া তিনজনই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা। তবে ভারতে প্রবেশের আগে তারা বাংলাদেশের একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছিলেন।

পাচার নেটওয়ার্কের সন্দেহ
জিআরপি সন্দেহ করছে যে আবদুল রহমান একটি বড় মানব পাচার চক্রের অংশ। বাংলাকে ট্রানজিট করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে জম্মু ও কাশ্মীরে শিশু ও নাবালকদের পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা আরও খতিয়ে দেখছেন যে আবদুল একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন কিনা এবং এই চক্রে আরও বড় কেউ জড়িত আছে কিনা।

বর্তমান পদক্ষেপ
দুই নাবালিকাকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আবদুল রহমানকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খুঁজে বের করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি, রেলওয়ে পুলিশ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মাধ্যমে অবৈধ প্রবেশ এবং পাচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত চক্রের অন্যান্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান
এই ঘটনায় সীমান্ত সুরক্ষা এবং রেলওয়ে স্টেশনে নজরদারি আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানব পাচার নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা ভারতীয় প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement