মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকস্মিক পরিদর্শনের পর রাতারাতি পার্কস্ট্রিটের জনপ্রিয় রুফটপ রেস্তরাঁ ম্যাগমা হাউজ-এর ভাঙচুরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ওই রেস্তরাঁ ভাঙা যাবে না। আদালতের এই রায়ে আপাতত স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন কর্মচারীরা।
সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন রুফটপ পাব, বার এবং ক্যাফের সামনে কর্মীদের ভিড় চোখে পড়েছে। তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন—রেস্তরাঁ বন্ধ হলে চাকরির কী হবে? হাইকোর্টের রায় কিছুটা হলেও সেই শঙ্কা কমিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও তড়িঘড়ি পদক্ষেপ
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন সেরে ফিরে বৃহস্পতিবার সরাসরি পৌঁছে যান বড়বাজার এলাকায়। সেখান থেকেই পার্কস্ট্রিটের রেস্তরাঁগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে ম্যাগমা হাউজে গাদাগাদি করে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার দেখে ক্ষুব্ধ হন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেন প্রশাসনকে।
এর পরই মেয়র ফিরহাদ হাকিম, নগরপাল মনোজ ভার্মা এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে নিয়ে বৈঠকে বসে পুর প্রশাসন। দ্রুতই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইনের ৪০০(৮) ধারা অনুযায়ী বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে নোটিস জারি করা হয় ম্যাগমা হাউজকে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে জানায়, কোনও পূর্বআলোচনা বা পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে পুরসভা ও পুলিশ আচমকাই ভাঙার কাজ শুরু করে। এদিকে তাদের অগস্ট পর্যন্ত বৈধ ফায়ার ও ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। জিনিসপত্র সরাতে অন্তত ১৫ দিনের সময় প্রার্থনা জানায় তারা।
বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, 'এভাবে হঠাৎ করে পুরসভা রেস্তরাঁ ভাঙতে পারে না। যদিও সরকারি পক্ষ দাবি করে, গত বছর থেকেই সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।