২০২১ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই বাবুল সুপ্রিয়ই এখন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারিয়েই দলবদল করেছেন বাবুল। সাহিত্য আজতকের অনুষ্ঠানে এসে বালিগঞ্জের বিধায়ক জানালেন, ২০২১ সালেই নয় বরং আরও পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তখন ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি।
বিজেপিতে থাকার সময় বাবুলের সঙ্গে শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের তর্ক-বিতর্ক লেগেই থাকত। বাবুলকে দাঙ্গাবাজ বলে আক্রমণও করা হত। রাম নবমীতে আসানসোলে হিংসার ঘটনা ঘিরে আরও বেশি করে সমালোচিত হন বাবুল। সমালোচনার জেরে নিজে থেকেই রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন,'সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিয়েছি। যদিও বাঙালিরা মতামত দিতে ভালোবাসে। ২০১৭ সালে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ইস্তফা দিয়েছিলাম। দাঙ্গাবাজ অভিযোগ উঠছিল আমার বিরুদ্ধে। আমার মনে হয়েছিল, আর রাজনীতি করতে চাই না। স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলাম, রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি তোমার কোনও সমস্যা নেই তো? ওঁ বলল না। তখন বোঝানো হয়েছিল,এটা করবেন না।'
দলবদলের পর তিনি কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন। এসব নিয়ে আদৌ ভাবিত হন বাবুল। তাঁর কথায়,'লোকেরা যা বলছে বলতে দিন। আয়নার সামনে দাঁড়াতে পারছি কিনা সেটা আসল ব্যাপার। নিজের জীবনে আমিই শাহেনশা। আমি সাংসদ পদও ছেড়ে দিয়েছি। একটাই জীবন।'
তার পর ২০২১ সালে বিজেপি ছাড়েন বাবুল। সেই সময় পাকাপাকিভাবে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে আটকান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুল বলেন,'রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলাম। দিদিই বললেন রাজনীতি ছেড়ো না। কাজ করো। মানুষের ভোটে জিতে এসেছি।'
বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে পুরনো দলকেও কটাক্ষ করেছেন। তবে নাম না নিয়েই। বাবুলের কথায়,'এখন ৭০ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ ভোটের রাজনীতিতে নেই। আগে দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলাম। এখন রফি ও কিশোর একসঙ্গে গাই। কারও সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। তবে রসিকতা তো করা যায়। সাহেবও তো করেন।'
আরও পড়ুন- 'আপনাকে রং বাছতে হবে, নইলে রং আপনাকে বেছে নেবে', বিস্ফোরক অরিন্দম শীল