Advertisement

Samik Bhattacharya: শুধুই 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিতে কাজ হয়নি একুশে, ছাব্বিশে তাই 'মার্কস-মুসলিম' স্ট্র্যাটেজি শমীকের?

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তুলে ঝাঁপিয়েছিল BJP। তবে এবার ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে বদল এল গেরুয়া শিবিরের পন্থায়। নয়া স্ট্র্যাটেজির নেপথ্যে রয়েছেন দলের নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কেন মুসলিম এবং বামেদের পাশে চাইছেন তিনি?

শমীক ভট্টাচার্যশমীক ভট্টাচার্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 11 Jul 2025,
  • अपडेटेड 4:31 PM IST
  • আগে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তুলে ঝাঁপিয়েছিল BJP
  • ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে বদল এল গেরুয়া শিবিরের পন্থায়
  • নয়া স্ট্র্যাটেজির নেপথ্যে রয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য

'জয় শ্রীরাম'। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মসনদ থেকে তৃণমূলকে সরাতে হিন্দু ভোটকেই হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়েছিল BJP। এই স্লোগানই ছিল সে সময়ে তাদের মূল মন্ত্র। তবে এই পন্থা খুব একটা লাভজনক হয়নি সে বছর। কাট টু ২০২৬। ফের এক বিধানসভা নির্বাচন। ফের BJP-র কাছে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলকে গদিচ্যুত করা। তবে এবার আর কেবলমাত্র হিন্দু ভোটের উপর নির্ভর করে নয়। বরং স্ট্র্যাটেজি বদল করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে আচমকাই তারা কাছে টানার চেষ্টা করছে মুসলিম এবং কমিউনিস্টদের। আর নয়া স্ট্র্যাটেজির নেপথ্যে রয়েছেন দলের নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

বিভাজনের রাজনীতি থেকে ইউ টার্ন নিয়ে, রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের প্রথম ভাষণেই শমীক ভট্টাচার্য বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর রাজনৈতিক কৌশল বাকিদের থেকে আলাদা।

বঙ্গ BJP-র নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, 'ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাকে দু'ভাগ করার রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। সংখ্যালঘুদের বুঝতে হবে BJP তাদের বিরুদ্ধে নয়। যাঁরা মুসলিম ছেলেদের হাতে পাথর তুলে দিচ্ছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে। আমরা পাথরের বদলে মুসলিম ছেলেদের হাতে পেন তুলে দিতে চাই।'

উগ্র রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে BJP-র সঙ্গে শমীক পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের।

BJP-র অবাক করা স্ট্র্যাটেজি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদাই ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার রাজনীতির অভিযোগ তোলা BJP-র জন্য নয়া স্ট্র্যাটেজি বেশ অবাক করার মতো। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একদিকে হিন্দু ভোট একত্রিত করার লক্ষ্যে অভিযান চলছে। অন্যদিকে তখন শমীক ভট্টাচার্যের নতুন পন্থা শুভেন্দুর সম্পূর্ণ বিপরীত। এমনকী মুসলিমরা BJP-কে ভোট না দিলেও BJP তাদের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে বলে ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন দলের নয়া রাজ্য সভাপতি।

কেবলমাত্র মুসলিম নয়, শমীক ভট্টাচার্য হাত বাড়িয়েছেন কমিউনিস্টদের দিকেও। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং জ্যোতি বসুকে এক ব্র্যাকেটে ফেলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দেশভাগের সময়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় চেষ্টা করেছিলেন যাতে বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা হয়। আর সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন জ্যোতি বসু।

Advertisement

এটা কি BJP-র জিরো লস স্ট্র্যাটেজি?

শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই স্ট্র্যাটেজির উদ্দেশ্য কী? ইন্ডিয়া টুডে-কে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমিতাভ তিওয়ারি বলেন, 'BJP-র কাছে এটা জিরো লস স্ট্র্যাটেজি। ২০২১ সালে বিভাজের রাজনীতি করেছিল তারা। মাত্র ২৬ শতাংশ আসন পেয়েছিল। তাই এবার অন্য পন্থা নিয়েছে গেরুয়া শিবির।' ২০২১ সালে BJP ২৯৪-এর মধ্যে পেয়েছিল ৭৭টি আসন। অমিতাভ তিওয়ারির ভোট ভাইব সংস্থা ৭ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত একটি সার্ভে করেছে বাংলায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, ৪৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী BJP-র পুরনো পন্থায় সম্মতি জানিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু তোষণ করে বলে মনে হয় তাঁদের। বাকি ৩৪ শতাংশ BJP-র এই দাবির সঙ্গে একমত নন।

বাঙালি মুসলিম এবং বাংলাদেশি মুসলিমের মধ্যে পার্থক্যের চেষ্টা

নয়া মুখ, নয়া স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে BJP ২০২৬-এ প্রচার শুরু করতে আগ্রহী। অমিতাভ তিওয়ারি বলেন, 'শমীক ভট্টাচার্য শহুরে মুখ। ঠিক যেমন ছিলেন জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এঁরা ছিলেন ভদ্রলোক যাঁরা অ্যাজেন্ডা সেট করে দিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী মুসলিম শব্দটি ব্যবহার করে শমীক বাঙালি মুসলিম আর বাংলাদেশি মুসলিমদের মধ্যে ঠিক এভাবেই অ্যাজেন্ডা তৈরি করে দিলেন।' এরপরই BJP-র তরফে পোস্ট করা হয়, 'মাছ যেমন জল ছাড়া থাকতে পারে না, মমতাও তেমনি বাংলাদেশি মুসলিম ছাড়া থাকতে গদিতে টিকতে পারবেন না।'

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement