অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী ২২ জানুয়ারি। তার আগেই উত্তর কলকাতায় রাম মন্দির থিমের প্যান্ডেল বানিয়ে তাক ফেলে দিয়েছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের বড় কত্তা তথা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বাংলায় এই একটি মাত্র পুজোর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে তেজস্বী সূর্যরাও এসেছিলেন মণ্ডপে। রাম মন্দির দেখে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। উদ্বোধনের পর থেকে রাম মন্দির দেখতে রীতিমতো জনস্রোত। এই বিশাল জনস্রোত, লেজার শো-র আলোর মধ্যে হারিয়ে গিয়েছেন শিল্পীরা। যাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের ধাঁচে পুজো মণ্ডপ।
দিনরাত এক করে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে তিলে তিলে রাম মন্দির গড়ে তুলেছেন মেদিনীপুরের কারিগররা। পুজোর অনেক আগেই তাঁরা চলে এসেছিলেন কলকাতায়। তার পর দিনরাত পরিশ্রম করে তাঁরা তৈরি করেছেন 'রাম মন্দির'। সেই সব শিল্পীদের সঙ্গে হয়েছিল bangla.aajtak.in-এর। থিমের মন্দির নির্মাণের সময় তাঁরা কাজ করতে করতেই কথা বলেছিলেন। কাঁথি থেকে এসেছেন স্বপন। তিনি বলেন,'আমার প্যান্ডেল বাঁধার কাজ করি। সারাবছরই এই কাজেই থাকি।' আর এক কারিগর রবীন্দ্র সিংহ জানালেন, ছোটবেলায় প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শিখেছিলেন তিনি। সেই থেকে এই কাজই করছেন।
পুজোর আগেই বাড়ি ফিরে যান কারিগররা। কলকাতায় থাকেন না। বছরের বাকি সময়ও প্যান্ডেল বাঁধার কাজ করেন। এ থেকেই আয় তাঁদের। এই টাকাতেই চলে সংসার। মেদিনীপুর থেকে এসেছেন কারিগররা। সকলেই জানালেন, অল্প কিছু চাষবাস আছে। প্যাণ্ডেল বাঁধার কাজ করে কোনওরকম সংসার চলে।
ফোম দিয়ে তৈরি হয়েছে মন্দিরের অন্দর ও বাইরের কারুকার্য। ফোমকে কেটে তৈরি হয়েছে ডিজাইন। তার পর রং দেওয়া হয়। সাদা ফোমকে নানা আকারে গড়ে-পিঠে নিয়েছে অমিত পাতর ও তাঁর দলবদল। অমিত বললেন,'সারাবছরই থিমের কাজ চলে। চৈত্র মাস পর্যন্ত বাংলাতেই বিভিন্ন মণ্ডপ তৈরি করি। এই দুর্গাপুজোর কাজের পর শুরু হয়ে যাবে কালীপুজো। ভিন রাজ্যেও যাই। গুজরাতে বিখ্যাত খাটু শ্যামবাবার শৃঙ্গার করি আমরা। ভিন রাজ্যেও অনেক বড় বড় কাজ করি।'