সারদা মামলায় নয়া মোড়। মঙ্গলবার তিনটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ২০২৫-এ সেই সারদা সংক্রান্ত মামলায় প্রথম রায়দান হল। তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস হলেন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী। বিচারক নিধি শ্রী জানিয়েছেন, এই মামলায় কলকাতা পুলিশ প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। সরকার পক্ষের দিকে ৫০ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে মাত্র ১৫ জনকে পাওয়া যায়। তাদের সাক্ষ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। সেই কারণেই বেকসুর খালাস করা হল। এদিন রায় ঘোষণার পরে হাসতে দেখা যায় সুদীপ্ত ও দেবযানীকে। তাঁরা হাতজোড় করে বিচারকের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানান। তবে সারদা সংক্রান্ত আরও কয়েকটি মামলা কলকাতা পুলিশের হাতে আছে বলে খবর। তবে আপাতত জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তাঁরা।
২০১৩ সালে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তিনটি এফআইআর রুজু হয়েছিল সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের নামে। তিনটি মামলা মিলিয়ে প্রায় ১০-১৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। পরে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মঙ্গলবার ওই তিন মামলায় সুদীপ্ত এবং দেবযানীকে বেকসুর খালাস করে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ২০০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি-র মামলাও রয়েছে। ফলে তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস হলেও এখনি জেলমুক্তি হচ্ছে না অভিযুক্তদের। প্রসঙ্গত, ২০১৩-তে সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালক। পরে জেরায় জানা যায়, চালককে রাঁচিতে গিয়ে ছেড়ে দিয়ে রাঁচি হয়ে গাড়ি করে সড়কপথে হরিদ্বার, দেরাদুন, পঞ্জাব হয়ে কাশ্মীরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেনরা। পরে দেবযানীর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিকরা কাশ্মীরের কথা জানতে পারেন। কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে সুদীপ্ত সেন-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।