আড়িয়াদহে ‘জয়ন্ত-গ্যাং’-এর ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার সমস্ত পুরপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধরের পরই খবরে আসে জয়ন্ত সিং নামে ওই ব্যাক্তি। শুধু তাই নয়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায় ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে ফোন করে গুলি করার হুমকির ঘটনাতেও নাম জড়ায় জয়ন্তর।
এদিন বৈঠকে সৌগত রায় ছিলেন। মদনের পাশে বসে তিনি বলেন, 'দলের বিরুদ্ধে কেউ বাইরে কিছু বলবেন না। অতীতে কোনও কিছু ভুল হলে সংশোধন করা হবে। যা হয়েছে ভুল হয়েছে, সংশোধন করে নেব, আগামীতে হবে না। গোপাল বলেছে, আমিও বলছি, জয়ন্ত সিংহ এত বড় বাড়ি করেছে, আমরা জানি না। আগে যখন মারধর করেছিল, তখন গ্রেফতার হয়েছিল, দেড়মাস কাস্টডিতে ছিল জয়ন্ত।'
এদিন সৌগত আরও বলেন, 'পুলিশ যথেষ্ট কড়া ধারা দিয়েছিল জয়ন্তর বিরুদ্ধে। পুলিশকে বলেছি জয়ন্তকে কঠোরতম শাস্তির জন্য কড়া ধারা দিতে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রোমোটার ও সমাজবিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। প্রোমোটার ও সমাজবিরোদীধের সঙ্গে যোগ থাকলে শোকজ করা হবে, পরে বরখাস্ত করা হবে।'
যদিও বিরোধীদের দাবি, আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ জয়ন্তের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠতার ছবি সামনে আসতেই কার্যত বেকায়দায় পড়েছে শাসক দল। যদিও প্রতি মুহূর্তে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতারা দাবি করেছেন, জয়ন্তের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।
সূত্রের খবর, কামারহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টিতে পুর প্রতিনিধি মারা গিয়েছেন। দু’টি নির্দলের দখলে। ৩১ জন পুরপ্রতিনিধি ও প্রতি ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তাতে বলা, ‘কামারহাটি বিধানসভার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে’ সাংসদ সৌগত রায়ের নির্দেশে বিধায়ক মদন মিত্র ওই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সভা ডাকছেন। বিরোধীদের নালিশ, জয়ন্তের সঙ্গে বহু ছবিতেই মদন তো বটেই, সৌগতকেও দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, তাঁদের ভোট প্রচারেও ছিল জয়ন্ত।