স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। যারা চিহ্নিত অযোগ্য তাঁরা আর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই নির্দেশ সোমবারই দেয় সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। তবে চাকরিপ্রার্থীরা মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে জানান, তাঁদের আরও তিনটি আবেদন আছে।
মঙ্গলবার এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে তাঁরা জানান, তাঁদের আরও যে আবেদনগুলি রয়েছে সেগুলো হল- নতুন রুল জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে বিজ্ঞপ্তি জারির যে সিদ্ধান্ত তা খারিজ করতে হবে। নম্বরের বিন্যাস সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত তা বাতিল করতে হবে। চাকরি প্রার্থীদের বয়স নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটাও খারিজ করা প্রয়োজন।
স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের বক্তব্য, যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হয় তাহলে অতিরিক্ত নম্বর কেন দেওয়া হবে? আবেদনকারীদের দাবি, নতুন বিধি অনুযায়ী অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া হবে। ফলে ওয়েটিং লিস্টে যারা থাকছে, তাদের শিক্ষকতার সুযোগ না থাকায় এই ১০ নম্বরও জুটবে না। এতে বিভাজন তৈরি হবে। কারও সিলেকশন হবে ১০০ নম্বরে আবার কারও ৯০-এ।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েও দেয়। সেই মোতাবেক কমিশনের তরফে মে মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি বলে হাইকোর্টে মামলা হয়।
সেই শুনানিতে কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি যে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।' তবে বিচারপতি জানান, তিনি কমিশনের জবাবে একেবারেই সন্তষ্ট নন। সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের নির্দেশের পরও এই যুক্তি ধোপে টেকে না।