Advertisement

Kolkata Metro: জোড়াতাপ্পি দিয়ে পরিষেবা? একাধিক সিদ্ধান্ত বদল কলকাতা মেট্রোর

কলকাতা মেট্রোর সমস্যার জালে নিত্যযাত্রীরা একেবারে বিপর্যস্ত। দক্ষিণ কলকাতার কবি সুভাষ স্টেশনের একটা অংশে ভাঙনের ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিষেবা ব্যাহত। যার খেসারত দিতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এরমধ্যেই দমদম এবং শহিদ ক্ষুদিরামের (ব্লু লাইন) মধ্যে রাত্রিকালীন পরিষেবা এ বার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রো। যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে এক বছর আগে এই পরিষেবা চালু করেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে আর সেই পরিষেবা পাবেন না যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মেট্রোর পক্ষ থেকে।

একাধিক সিদ্ধান্ত বদল কলকাতা মেট্রোরএকাধিক সিদ্ধান্ত বদল কলকাতা মেট্রোর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 Sep 2025,
  • अपडेटेड 12:05 PM IST


কলকাতা মেট্রোর সমস্যার জালে নিত্যযাত্রীরা একেবারে বিপর্যস্ত। দক্ষিণ কলকাতার কবি সুভাষ স্টেশনের একটা অংশে ভাঙনের ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিষেবা ব্যাহত।  যার খেসারত দিতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এরমধ্যেই  দমদম এবং শহিদ ক্ষুদিরামের (ব্লু লাইন) মধ্যে রাত্রিকালীন পরিষেবা এ বার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রো। যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে এক বছর আগে এই পরিষেবা চালু করেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে আর সেই পরিষেবা পাবেন না যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মেট্রোর পক্ষ থেকে। যেমন, ইয়েলো লাইন পরিষেবা, অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত  এবং  ব্লু লাইন পরিষেবা, অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত, আলাদা করা হয়েছে।  যাতে কলকাতার  ব্লু লাইন, ইয়েলো লাইনের পরিষেবা থেকে ঠিক একইভাবে বিচ্ছিন্ন থাকে যেভাবে গ্রিন লাইন এবং ব্লু লাইন পরিষেবাগুলিকে একে অপরের ক্যাসকেডিং প্রভাব থেকে পৃথক করা হয়।

প্রসঙ্গত, কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের (নীচের প্ল্যাটফর্ম) বন্ধের কারণে যাত্রীদের শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে নামতে হচ্ছে। খালি রেকগুলো প্রথমে কবি সুভাষ ডাউন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়া হয়, রিভার্সাল শেষে আপ লাইন ধরে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনেই ফের রেলপথে চালু করা হচ্ছে, ফলে রেক রিভার্সালের সময় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ব্যস্ত সময়ের যাতায়াত সংক্রান্ত চাহিদা মেটাতে, কিছু ডাউন ট্রেন মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে শর্ট-টার্মিনেট করে আপ লাইন ধরে দক্ষিণেশ্বরের পথে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই ব্যবস্থায় কবি নজরুল থেকে আসা আপ ট্রেন এবং রবীন্দ্র সরোবর থেকে আসা ডাউন ট্রেন মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে ঢোকানো সম্ভব হচ্ছে না। যা সার্বিকভাবে সিস্টেমে আরও জটিলতা তৈরি করছে। এই সমস্যা মেটাতে এবার কলকাতা মেট্রোরেলের ইয়েলো লাইন ও ব্লু লাইন আলাদা করার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। এয়ারপোর্ট–নোয়াপাড়া (ইয়েলো লাইন) এবং ব্লু লাইনের (নোয়াপাড়া–শহিদ ক্ষুদিরাম) পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে আলাদা করা হচ্ছে—যেভাবে গ্রিন ও ব্লু লাইন একে অপর থেকে নিরপেক্ষ রয়েছে।

Advertisement

কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধের জেরে যে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা কমাতে ব্লু লাইনের পরিষেবার সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রতিদিনের বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরুর আগেই মহানায়ক উত্তম কুমার ও নোয়াপাড়া স্টেশনে আগে থেকেই ৩টি করে রেক রাখা হচ্ছে।  এরই পাশাপাশি মেট্রো ট্রেনের কার্যক্রম সহজ করার জন্য টালিগঞ্জ কারশেড ফের চালু করা হচ্ছে, যা উৎসবের মরশুম পুরোদমে শুরুর আগেই কার্যকরী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সপ্তাহান্তে বাণিজ্যিক সময়ের বাইরেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলো করা হবে যাতে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের সকালের দিকের পরিষেবা ব্যাহত না হয়।

কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেখে নেওয়া যাক-
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া হয়ে শহীদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত সরাসরি মেট্রো পরিষেবা জারি রেখেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই পরিষেবা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যেই বর্তমানে মেট্রো পরিষেবা চলাচল করবে। উত্তর-দক্ষিণ করিডর বা ব্লু লাইনে মেট্রো পরিষেবা নিতে হলে নোয়াপাড়া নেমেই মেট্রো ধরতে হবে। ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা ২৮৪ থেকে কমিয়ে ২৬২ করা হয়েছে। অর্থাৎ যাত্রী চাপ এবং বিভ্রাট নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে পরিষেবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিত্যদিন টালিগঞ্জ বা মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে রিভার্সাল পয়েন্টে। সে কারণেই এবার থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে ৩টি রেক এবং নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩টি রেক অতিরিক্ত রাখা থাকবে। যদি শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে মেট্রো রিভার্সাল পয়েন্টের সমস্যার জন্য ডাউন লাইন থেকে আপ লাইনে ঘোরাতে সমস্যা হয়, তাহলে ওই ৩টি রেক মনে উত্তম কুমার থেকে বের করে যাত্রী পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হবে। একইভাবে নোয়াপাড়ার দিকে সমস্যা দেখা দিলে সেখানে রাখা অতিরিক্ত ৩টি রেক যাত্রি পরিষেবার কাজে ব্যবহার করা হবে।

 তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টালিগঞ্জ নিয়ে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন চালু হওয়ার পর সেখানকার কারশেড ব্যবহার হত। কিন্তু বিপর্যয়ের পর একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে মেট্রো পরিষেবায়। তাই এবার পুনরায় টালিগঞ্জ স্টেশনের কারশেড চালু করার সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু মেট্রো সেই কারশেডে রাখা হবে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের কারশেড পর্যন্ত রেক নিয়ে যাওয়া হবে না। সকালের দিকে মেট্রো পরিষেবা যাতে মসৃণ থাকে, তার জন্য একাধিক যান্ত্রিক এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে। যাত্রি পরিষেবা মসৃণ রাখতে পুরনো লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে যাত্রী পরিষেবা সমস্যার মুখে পড়লেও বিভ্রাট নিয়ন্ত্রণে আনতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement