
যুবভারতী কাণ্ড ঘিরে বুধবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বৈঠকে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁরা। লিওনেল মেসির ভারত সফরকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া গোটা পরিস্থিতিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন শমীক।
শমীকের অভিযোগ, 'সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে শেষ নাটকটা মঞ্চস্থ করেছে, তার নাম লিওনেল মেসি। ভোটের তহবিল জোগাড় করার জন্য পরিকল্পিত লুঠ চালানো হয়েছে।' তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে গোটা তৃণমূল দলই জড়িত। শুধু ক্রীড়ামন্ত্রীকে সামনে রেখে দায় এড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যুবভারতী কাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। তা নিয়েও প্রশাসনিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই শমীক বলেন, 'যাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ চালালেন, তাঁরা কোথায়? মেসিকে প্রথম ২৫ কোটি টাকা অগ্রিম কে দিল? শুধু একজন ক্রীড়ামন্ত্রীকে সরিয়ে নাটক করলে আসল সত্য চাপা দেওয়া যাবে না। ডিজিকে কে নিয়ন্ত্রণ করে? সরকারই তো। পদত্যাগপত্র দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু তাতে লাভ হবে না।'
এদিকে, মেসির আগমন ঘিরে যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগান ম্যাচ বা তথাকথিত ‘G.O.A.T কাপ’ নিয়ে জল্পনা চলেছিল। পরে উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত জানান, ওই কাপে মুখোমুখি হওয়ার কথা মোহনবাগান মেসি অল স্টার্স ও ডায়মন্ড হারবার এফসি মেসি অল স্টার্সের। ডায়মন্ড হারবার এফসি-র সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে থাকায় বিতর্ক আরও ঘনিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডায়মন্ড হারবার এফসি সম্প্রতি ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটেই মোহনবাগানকে বিশেষ বার্তা দেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'মোহনবাগানের প্রতিটি সমর্থক ও খেলোয়াড়ের কাছে আমার আবেদন, এসবের মধ্যে ঢুকবেন না। মোহনবাগানের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস জড়িয়ে আছে, রয়েছে এক অনন্য ঐতিহ্য। এই ধরনের চক্করে জড়ালে সেই ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ হবে। এতে মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ আহত হচ্ছে।'