সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি-কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। এবার শতরূপকে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ওই নোটিস অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শতরূপকে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে নোটিস পাঠানো হয়েছে চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে।
ঘটনার সূত্রপাত শতরূপের ২২ লাখি গাড়ি নিয়ে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পাল্টা সিপিএমকে বিঁধছে তৃণমূল। সেই ঘটনাক্রমেই জড়িয়ে গিয়েছেন সিপিএমের তরুণ মুখ শতরূপ ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় ২ লাখ টাকা সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলেন শতরূপ। তিনি কিনেছেন ২২ লাখ টাকার গাড়ি। ২২ লাখের গাড়ির কথা স্বীকার করে নেন শতরূপ। তিনি ব্যাখ্যা দেন,'যে গাড়ির কথা বলা হচ্ছে তা আমি জানুয়ারি মাসে কিনেছি। গাড়ির টাকা আমার বাবা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের চেকে করেছেন। বাবা-মা দুইজনেই কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থার কাজ করেছেন। বাবা চেকে গাড়ির টাকা দিয়েছেন। সব নথি আমার কাছে রয়েছে।' তার পর আজ, বৃহস্পতিবার শতরূপ, বিমান ও সেলিমকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন কুণাল।
কুণালের চিঠির বিষয়বস্তু, ওই দিন শতরূপের করা একটি মন্তব্য। লেখা হয়েছে,'২২ মার্চ আপনার গাড়ি নিয়ে করা কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্টের পরেই আপনি একটি প্রেস কনফারেন্স করেন। যা রাজ্যের একাধিক বড় বড় সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়। যেখানে আপনি কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অপমানজনক কথা বলেছেন। আপনি বলেছেন, আমি জানি না, হতে পারে কুণাল ঘোষের বাবার হয়তো কুণাল ঘোষ ছাড়াও অনামে বেনামে আরও এদিকে-ওদিকে সন্তান ছড়িয়ে ছিলেন। ওনার বাবা হয়তো যখন কিছু কিনতেন আমি জানি না, হতে পারে, ওনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে, অফিসিয়াল আনঅফিসিয়া, কোন সন্তানের নামে কিনবেন বুঝতে না পেরে নিজের নামেই কিনতেন। আমি জানি না উনি টেস্টটিউব বেবি কিনা।'
আরও পড়ুন- 'বলতে পারে আমি ঝগড়ুটে তাই ঝগড়া করার জন্য যাইনি', মোদী-সাক্ষাতে মমতার ব্যাখ্যা
ওই মন্তব্যের জন্য শতরূপকে চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন কুণাল। নইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শতরূপ মিডিয়ায় জানিয়েছেন,'এখনও আইনি চিঠি পাননি। উনি পাঠান। দেখা হবে আদালতে।'
আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমকেও। কুণালের দাবি, শতরূপ ওই দিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিপিএম রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেলিম, বিমানদের অনুমোদনে পার্টি অফিসে বসে কুৎসা হয়েছে। ‘শতরূপ ওইরকম কদর্য কথাবার্তা বলার ৪৮ ঘণ্টা পরেও সেলিমদা, বিমানদারা নিন্দা করেননি। এতে প্রমাণিত, ওঁরা এই কুৎসার সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক।'