পুজোর আগে বাংলার মানুষের কেনাকাটায় বাড়তি সুবিধা দিতে দেশজুড়ে চালু হতে চলেছে দ্বিতীয় প্রজন্মের জিএসটি। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার ভাষা ভবনে আয়োজিত 'নেক্সট জেন জিএসটি' শীর্ষক আলোচনাসভায় এ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
অর্থমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছা অনুসারেই মহালয়ার পর, অর্থাৎ নবরাত্রির সূচনাতেই কার্যকর হবে নতুন জিএসটি ব্যবস্থা। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষত বাংলার নতুন প্রজন্ম নিজের ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করতে পারবে। উইন্ডো শপিংয়ে নিজেদের বদ্ধ না রেখে প্রাণ খুলে পছন্দের জিনিস কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দ্বিতীয় প্রজন্মের জিএসটি চালুর পরিকল্পনা চলছিল। তবে পিতৃপক্ষের কারণে দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে পুজোর আগে নেক্সট জেন জিএসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে মাত্র দুটি স্তরের কর ব্যবস্থার সুফল ভোগ করতে পারেন সাধারণ মানুষ।
প্রজেক্টরের মাধ্যমে জিএসটির নতুন কাঠামো ব্যাখ্যা করে সীতারামন বলেন, বাংলার একাধিক শিল্প ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ সরাসরি উপকৃত হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের চর্মশিল্প, বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও মৃৎশিল্প, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডীর ক্ষুদ্রশিল্প, বর্ধমানের শোলার সামগ্রী, সবকিছুর উপর কর কমে আসবে।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, এই শিল্পগুলির জন্য কর হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি নকশিকাঁথা শিল্প, মালদহের আম, দার্জিলিংয়ের চা, চটের ব্যাগ, হোসিয়ারি এবং রেডিমেড পোশাক শিল্পও নেক্সট জেন জিএসটির ফলে লাভবান হবে।
তিনি আশাবাদী, বাংলার ক্ষুদ্রশিল্প থেকে শুরু করে কৃষিজাত পণ্য, সব ক্ষেত্রেই নতুন কর কাঠামো বাংলার বাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং উৎসবের মরসুমে গ্রাহকদের কেনাকাটায় বাড়তি গতি আনবে।