শিশির অধিকারীকে 'ওয়াই প্লাস' ক্যাটিগিরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 'ওয়াই প্লাস' ক্যাটিগিরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে তাঁর ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারীকেও। শনিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনই জানা গিয়েছে।
'ওয়াই প্লাস' ক্যাটিগিরির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিআরপিএফ জওয়ান থাকে। এই ব্যবস্থায় নিরাপত্তার জন্য ৫ সিআরপিএফ জওয়ান থাকে। এর পাশাপাশি থাকে ৬ জন পিএসও। তিন দফায় তারা থাকে। অর্থাৎ, এক এক দায় থাকে দু'জন করে। পিএসও-এর পুরো কথা হল পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার।
একুশের ভোটের সময় শিশির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে যোগ দেন বিজেপিতে। তার অনেক দিন আগে তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন বিজেপিতে। তবে শিশিরবাবুর আর এক ছেলে দিব্যেন্দু এখনও রয়েছেন তৃণমূলে।
বিজেপি যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দুর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আগে তিনি পেতেন 'ওয়াই প্লাস' ক্যাটিগিরির নিরাপত্তা। তা বাড়িয়ে 'জেড' ক্যাটিগিরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। শুভেন্দু এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে সবথেকে চর্চিত কেন্দ্র ছিীলনন্দীগ্রাম। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলাফলও প্রকাশিত। রাজ্য সরকার গঠন করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পূর্ব মেদিনীপুর ছোট জনপদ নন্দীগ্রাম।
সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ফের মুখোমুখি দুই প্রার্থী! এবার ভোটের পর। একজন মুখ্যমন্ত্রী এবং আর একজন বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। এ কথা ঠিক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের অনেক দূরে শেষ করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী হারিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি এক সময় তৃণমূলের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন। পরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
তবে এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল জয় পেয়েছে বললে ভুল বলা হবে না। তারা গতবারের থেকে নিজেদের আসনসংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছে। জিততে না পারেলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছেন।
তবে তাঁকে ফের ভোটে দাঁড়াতে হবে। মনে করা হচ্ছে তিনি উপনির্বাচনে জিতে নিজের পদ ধরে রাখবেন। নিয়ম মতো, ছ'মাসের মধ্যে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হবে।
বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বহুগুণ। তাদের এখন বিধায়ক সংখ্যা ৭৭। বাংলায় তারাই এখন প্রধান বিরোধী দল। তবে পরে দুইজন পদত্যাগ করেন। কারণ তাঁরা সাংসদও। দলের নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন।