এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে। কোথাও কোনও গোলযোগের খবর নেই। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পুরো বিষয়টি স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে করেছে। মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত রবিবার দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর এসএসসির নবম-দশমের নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। আজ একাদশ-দ্বাদশের এসএসসি-র নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। রবিবারের পরীক্ষার জন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছিল প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্র। আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যেই পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। এদিন
একাদশ, দ্বাদশের সাড়ে ১২ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী।
ব্রাত্য বসু জানান, এদিন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। গত রবিবার ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংস্যা ছিল ৩১ হাজার। এদিন ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩, ৫১৭ জন। সেক্ষেত্রেও প্রায় সকলেই উত্তরপ্রদেশ ও বিহার রাজ্য থেকে। এই নিয়ে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারকেও কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি এসএসসির দুর্নীতি নিয়েও বিরোধীদের জবাব দেন ব্রাত্য বসু। ডবল ইঞ্জিন সরকার নিয়ে গালভরা যেসব মন্তব্য শোনা যায়, তা আদতে কতোটা ঠিক বা বাস্তব তা পরোখ করে নিতে বলেন তথ্য দিয়ে। ব্রাত্য বসু বলেন, 'ডবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতা আসলে কতোটা, এই তথ্য থেকে আপনারা তার হিসাব পাবেন।'
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র এই সম্পূর্ণ পরীক্ষা অবৈধ, এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, এসএসসি-র এই পরীক্ষায় প্রশ্নই বিক্রি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, 'বিরোধীরা প্রশ্ন ফাঁস, অডিও লিকের কথা বলছেন, কিন্তু কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। বিরোধী দলের মামলা করার অধিকার আছে, মামলা করুন আমরা চাই।'