পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে চাকরিহারা 'যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ'। শনিবার দুপুরে করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মিছিলে চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দেখা যাবে স্কুল পড়ুয়াদেরও। বিকাশ ভবনের সামনে তারা হাজির হয়ে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানাবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের’ সদস্যেরা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধিক্কার দিবস পালন করেন বিক্ষোভকারীরা। উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চাকরিহারাদের দাবি সামনে রেখে অধিবেশন শুরুর দিনে বিধানসভা অচল করার ডাকও দিয়েছেন তিনি। পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'এটা বর্বরোচিত। শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড। বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দের দেশে এই ঘটনা নিন্দা করছি'। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিলে যোগ্যদের রাস্তায় বসতে হত না। ৭ হাজার জনকে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২২ সালের নির্দেশ মেনে নিলে এই অবস্থা হত না'।
এদিকে, বিকাশ ভবনের সামনে লাঠিচার্জের প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, ৭ ঘণ্টা ধরে সংযম দেখানো হয়েছিল।
কারও মাথায় ব্যান্ডেজ, কেউ খুঁড়িয়ে চলছেন। কারও হাত বাঁধা গামছা দিয়ে। কেউ বিছানায় শুয়ে। জখম আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, 'পুলিশ দিয়ে লাঠি মেরে পা ভেঙে দিলেও মনোবল ভাঙতে পারবে না।'
অন্যদিকে,চাকরিহারাদের ওপর বিধাননগর পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক চাকরিহারা শিক্ষক। মামলায় আবেদন করা হয়েছে, গোটা ঘটনায় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হোক।
পাশাপাশি কার নির্দেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করলো, সেই কৈফিয়ত চাওয়ার দাবিও উঠেছে হাইকোর্টে। মামলাকারীর বক্তব্য, এসএসসি মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই অবস্থায় একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কি করে পুলিশ লাঠিচার্জ করলো? আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।