রাজ্য সঙ্গীত এবং রাজ্য দিবস নিয়ে প্রস্তাব আনা হল বিধানসভায়। ১ বৈশাখকে রাজ্য দিবস করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। এর পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বাংলা দিবস ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারী ওই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন।
তাঁর বক্তব্য, 'এই প্রস্তাবের পরিণতি হবে, বিএসএফের বিরুদ্ধে নেওয়া রেজুলেশনের মতো। এই প্রস্তাবের পরিণতি হবে, ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নেওয়া রেজুলেশনের মতো। সবাই জানে, ১৯৪৭-এর ২০ জুন (নথি তুলে ধরে) পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই দিনকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। এই রেকর্ড আপনি নষ্ট করতে পারবেন না। দিনটা গ্রহণ করতে আপত্তি কোথায়?'
শুভেন্দু আরও বলেন, 'আপনাদের শাসকদল যদি ২ কোটি ৮০ লক্ষের জনাদেশ পেয়ে থাকে। আমরাও ২ কোটি ২৮ লক্ষের জনাদেশ পেয়ে এখানে এসেছি। কারও দয়ার দানে আসিনি। এই প্রস্তাবকে আপনারা পাশ করাবেন। আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। এর পরিণতি হবে, বঙ্গ নামের মতো। এর পরিণতি হবে বিধান পরিষদের মতো। এই প্রস্তাবের পরিণতি হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার মতো।'
উল্লেখ্য, ১ বৈশাখ দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য দিবস তথা বাংলা দিবস করার জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করল সরকার। প্রস্তাবটি পাশও হয়ে গেল। বিধানসভায় এদিন ওই প্রস্তাব পেশ করেছেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো বিধায়ক ও মন্ত্রীরা। সেই সঙ্গে খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও ওই প্রস্তাব এনেছেন।