Kabi Subhash-Ruby Metro Starts Operation After Puja: পুজোর আগেই কলকাতার ও নিত্য় কলকাতায় যাতায়াতকারীদের জন্য দারুণ সুখবর। সৌজন্যে কলকাতা মেট্রো রেল। কী সেই সুখবর? শহরবাসীর জন্য সেই সুখবরটি হল পুজোর পরই মাসখানেকের মধ্যে চালু হতে চলেছে কবি সুভাষ অর্থাৎ নিউ গড়িয়া থেকে রুবি অর্থাৎ হেমন্ত মুখাপাধ্যায় রুটে মেট্রো চলাচল। পরীক্ষামূলক ভাবে শনিবার এই রুটে মেট্রো চলল শনিবার। এই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালুর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে, সব কিছু ঠিক ভাবে চললে চলতি বছরের শেষেই যাত্রীদের জন্য মেট্রো চালানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর বাকি ৭ দিন, ঘরোয়া এই ৬ উপায়ে বাড়ান মুখের জেল্লা; ত্বক হবে ঝকঝকে-সুন্দর
শনিবার ট্রায়াল রান হয় এই রুটে। এই লাইন কলকাতা মেট্রো লাইন-৬ বা অরেঞ্জ লাইন নামে পরিচিত। ২০১০-১১ সালে অর্থ অনুমোদিত হয় নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের। এতদিনে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ৬.২ কিমি যাত্রা পথে ৫টি স্টেশন রয়েছে। এই স্টেশনগুলি হল, রয়েছে এই অংশে, তা হল কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নন্দী, কবি সুকান্ত ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে একটি নন এসি মেট্রো রেক নিয়ে আসা হয়েছিল এই ট্রায়াল রানের জন্য। শনিবার বেলা প্রায় সাড়ে ১১ টা নাগাদ শুরু হয় ট্রায়াল রান। মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাস ধরে সপ্তাহে দুই দিন করে এই ট্রায়াল রান চালানো হবে। কিছুদিন আগেই জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের ট্রায়াল রান চালিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল। এবার নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্তও শুরু হল ট্রায়াল রান।
এই অংশে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা ইএম বাইপাসের দিকে আসতে পারবেন। দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের সুবিধা হবে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ বা গড়িয়াহাট যেতে। ২০১৮ সালেই এই অংশটিকে মেট্রো লাইনের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই লাইনে মেট্রোর যাত্রী নিয়ে দৌড় শুরু হতে চলেছে আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই। এই রুটটি চালু হয়ে গেলে, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির মানুষরাও উপকৃত হবেন। যাঁরা ক্যানিং-এর দিক থেকে কলকাতায় আসেন, এই রুট চালু হয়ে গেলে তাঁরা কবি সুভাষ রেল স্টেশনে নেমে, সেখান থেকে মেট্রো করে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ চোখ বুজে এই ফল খেয়ে যান, বাড়বে আয়ু, ওজন কমবে, হার্ট থাকবে সুস্থ
তবে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হলেও আপাতত এই ৫টি স্টেশনে একটি ট্রেনই চালানো হবে। একটি ট্রেন প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছলে, আবার সেখান থেকে ছেড়ে অপর দিকে রওনা দেবে। সেটি গন্তব্যস্থলে পৌঁছলে ফের অন্য রেক যাত্রা শুরু করবে। আপাতত সিগনালিং ব্যবস্থা ছাড়াই নিউ গড়িয়া-রুবি পর্যন্ত মেট্রো ছুটবে। এই পাঁচ কিলোমিটার পথে সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশনের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। তবে কবি সুকান্ত এবং নিউ গড়িয়া স্টেশনের কাজ সামান্য বাকি রয়েছে। অভিষিক্তা মোড়ে উড়ালপুলের কাজ দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে ছিল। তবে জমি জট কাটতেই সেই কাজ শেষ হয়েছে। তাই বছরের শেষেই চালিয়ে দেওয়া হবে মেট্রো।
কলকাতা শহরের গুরুত্বপূর্ণ লম্বা রুটের যোগাযোগ দাঁড়িয়ে আছে মেট্রো রেল পরিষেবার উপরই। বাসে বা অন্য কোনওভাবে মেট্রোর মত এত দ্রুত শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এটিই শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার লাইফ লাইন। দীর্ঘদিন দমদম থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোর যাতায়াত সীমিত ছিল। এরপর মেট্রোর পরিসর বাড়ানোর জন্য দাবি ছিল অনেকদিনই। নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রুটের সম্প্রসারণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, কলকাতা ও শহরতলির অনেক মানুষ এর থেকে উপকৃত হবেন।