রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) ছটপুজো (Chat Puja 2020) হবে কি না, সেই বিষয়ে আজ রায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কিন্তু জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ যাতে রবীন্দ্র সরোবরে লাগু করা যায়, সেই জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছ পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বুধবারই রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন থানা গুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবরে যাতে ছট পুজো উদযাপন করা না হয় সেজন্য মানুষকে বোঝানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন থানার ওসিদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে যে ব্যবস্থাগুলি ঠিক হয়েছে সেগুলি হল,
১. রবীন্দ্র সরোবরের প্রবেশ পথগুলিতে কড়া পুলিশি প্রহরা থাকবে।
২. যে সব জায়গা দিয়ে খুব সহজেই সরোবর চত্বরে প্রবেশ করা যায়, নজরদারি থাকবে সেখানেও।
৩. সরোবরে পৌঁছানোর সমস্ত রাস্তায় মোতায়েন থাকবেন পুলিশ কর্মীরা।
৪. ছট পুজোর দিন সরোবর চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক।
৫. আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে মোতায়েন থাকবেন ৬ জনেরও বেশি এসি পদমর্যাদার আধিকারিক।
৬. ইনস্পেক্টরদের নেতৃত্বেও থাকবে বড় বাহিনী।
প্রসঙ্গত দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পর এবার ছটপুজোর ক্ষেত্রেও বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। (High Court) আদালত জানিয়েছে, "এই বছর ছট পুজোয় করা যাবে না কোনও শোভা যাত্রা। পরিবারের ২ জনের বেশি নামতে পারবেন না জলে। ছটপুজোর জন্য যেতে হবে নিকটবর্তী জলাশয়ে। ছোট খোলা গাড়ি করে জলাশয়ে যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু থাকবে না ডিজে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে রাজ্য।" এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে কি না সেই দিকে নজরদারির পাশাপাশি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার নিয়েও পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বিধি সহ সমস্ত নিয়ম মেনে ছট পুজো উদযাপনের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। এক ভিডিও বার্তা মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"সবাইকে ছুটপুজোর শুভেচ্ছা। আপনারা ছট পুজো উদযাপন করুন। বাড়িতে করতে পারেন, আবার কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে মোট দেড় হাজার পুকুর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও উদযাপন করতে পারেন। তবে একসঙ্গে যাবেন না। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যান। আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন না।"