পুলিশ আটকানোর পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকে জানান, 'আপনারা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন। ডিভিশন বেঞ্চ এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাহলে আটকানো হচ্ছে কেন ? আমরা আইন মেনে চলা নাগরিক। কোর্ট যে অর্ডার দিয়েছে, সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ যে আমাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার অর্ডার আলাদা আর ১৪৪ ধারার অর্ডার আলাদা, তাহলে আমাকে আটকাচ্ছেন কেন? আপনারা নতুন করে সকাল ৯ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তারসঙ্গে আমার সন্দেশখালি যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা আপনি আমাকে আটকাচ্ছেন না। আপনি কোর্টের নির্দেশকে মানছেন না। আমরা এখানে এক ঘণ্টা বসে থাকব। যদি যেতে না দেন তাহলে আমরা চলে যাব হাইকোর্টে। আমার ও শঙ্কর ঘোষের যাওয়ার কথা আছে। কোর্টের নির্দেশে তা উল্লেখ আছে।'
একথা বলার পরই শুভেন্দু বসে পড়েন রাস্তায় তিনি 'সন্দেশখালি জ্বলছে, মমতা হাসছে' স্লোগান দিতে শুরু করেন। যদিও পুলিশ সেই সময়ও ঘিরে ছিল শুভেন্দু ও তাঁর দলেরপ সদস্যদের।
এদিন রওনা হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী আজতককে বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, পুলিশ তাঁকে আবারও থামাখালিতে পারে৷ শুভেন্দু আধিকারী দাবি করেছেন, তাঁকে আটকাতে রাজ্য একক বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে। তিনি এটাও জানান, আমরা সন্দেশখলাই যাব এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করব।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি যাবেন সেকথা গতকাল সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামা, অগ্নিমিত্রা পল, সুমিতা সিনহা রায় ও তাপসী মণ্ডলরাও রয়েছেন শুভেন্দুর সঙ্গে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই বিজেপি বিধায়কদের। সন্দেশখালির পথে রওনা দেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটও। তবে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। তিনিও অভিযোগ করেন, তাঁকে পুলিশ অন্যায়ভাবে যেতে দেয়নি।