সন্দেশখালি যাওয়ার পথে হুঙ্কার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বাসে করে সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব তাড়াতাড়ি এক্স সিএম হয়ে যাবেন। অপেক্ষা করুন। দেখে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানা শেষ হতে চলেছে।'
এদিন বাসন্তী হাইওয়েতে শুভেন্দু অধিকারীদের বাস আটকানো হয়। পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ আটকালে শুভেন্দু জানান, তাঁদের চারজন আছেন মাত্র। ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই চারজন যাচ্ছেন। পুলিশ তাঁদের আটকাতে পারেন না। শুভেন্দুর সঙ্গে বাকি যে তিনজন বিধায়ক আছেন তাঁরা হলেন তাপসী মণ্ডল, চন্দনা বাউড়ি এবং শঙ্কর ঘোষ। তবে বিধানসভা থেকে বাসে ওঠার সময় শুভেন্দু সাফ জানান, যদি পুলিশ তাঁদের আটকে দেয় তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
শুভেন্দু অধিকারীকে বাসন্তী হাইওয়েতে আটকানোর আগে বলেন, 'আমাদের সন্দেশখালি যাওয়াটা লক্ষ্য। কাল আমাদের মহিলা টিম যাবে। একথা কথা মনে রাখবেন ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না। আমাদের আগের দিনও আটকেছে। সুকান্ত মজুমদারকে কেন আটকেছে। টাকিতে কি ১৪৪ ধারা ছিল? আমাদের সন্দেশখালিতে যাওয়ার জায়গা আছে। কোর্ট বলে দিয়েছে, আমরা যেতে পারি। যদি আটকে দেয়, তাহলে আমরা কোর্টে যাব। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বেশি জন বিধায়ককে নিয়ে যাওয়ার। এরপর যদি ওরা আটকায় তাহলে সেটা ওদের দায়িত্ব। আমার লড়াই চোর মমতার বিরুদ্ধে।'
পুলিশ বাস ছেড়ে দেওয়ার পর শুভেন্দু বলেন, 'আমরা সূর্যাস্তের মধ্যে বেরিয়ে আসব। নিগৃহীতার সঙ্গে দেখা করব। আমাদের এটা লক্ষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব তাড়াতাড়ি টের পাবেন।'
এদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বুধবার টাকির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় বঙ্গ বিজেপি। বর্ধমানের কার্জন গেটে কাছে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ধুন্ধুমার বেধে যায়। এছাড়াও সিউড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বুধবার টাকিতে সুকান্ত মজুমদারকে আটকায় পুলিশ। সুকান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আইসিইউ-তে রয়েছেন। তাঁর বমি বমি ভাব আছে। জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাতেই সুকান্তকে হাসপাতালে দেখতে যান শুভেন্দু। তাঁকে দেখার পরই এই কথা জানান শুভেন্দু।