রাজ্যে আবারও হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, আক্রান্ত হিন্দুরা। অথচ ধরপাকড় করা হচ্ছে হিন্দুদের। শুক্রবার শুভেন্দু বলেন,'বাউড়িয়ার ৭ জন হিন্দু বীর জেলে আছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেছি। হিন্দুদের রক্ত ঝরল। হিন্দু বাচ্চাকে মারল। একটা মুসলিম দোকানে হাত দেয়নি। আনাজ লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে'। সেই সঙ্গে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দেন বিরোধী দলনেতা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা না মেনে এক 'হিন্দু আক্রান্ত'কে জেলে অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। বলেন,'১০-১২ ঘণ্টা পর পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে অত্যাচার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রবাদী আইনজীবীদের পরামর্শ দেব, উলুবেড়িয়া কোর্টে পিটিশন করুন। ওসির সঙ্গে কথা বললাম। সুপ্রিম কোর্টের বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। সুমন হিন্দু বীর, হিন্দু যোদ্ধা। চোর, ডাকাত ও ধর্ষণকারীদের সঙ্গে তুলনা করলে হবে না'।
তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়,'ওসিকে বলেছি, মুঘল-পাঠান আমলে শাহজাহান ছিল। সেই শাহজাহান এখন আর নেই। তদন্তকারী অফিসার শাহজাহানকে বলুন তিনি যেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে চলেন। মন্দির ভাঙা, দোকান ভাঙা হয়েছে। কোপানো হয়েছে হিন্দু শিশুকে। শাহাজাহান সাহেব ও তাঁর পার্ষদরা গরিব হিন্দুদের পেটাবেন, আর আমরা চুপ করে দেখব, তা হবে না।
আক্রান্তের আর্থিক সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানান,'১৫ তারিখে নিম্ন আদালতে জামিন না হলে হাইকোর্টে যাব। ক্ষতিগ্রস্তরা সংসার যাতে চালাতে পারে, তার ব্যবস্থা বিজেপি পার্টির তরফে করছি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের অর্থনৈতিক সাহায্য দিচ্ছি। মহেশতলা, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতে পাশে দাঁড়িয়েছি। বাউড়িয়াতেও পাশে দাঁড়ালাম। বিধর্মী জেহাদিদের হাতে হিন্দু মন্দির অপবিত্র হয়েছে, তার মর্যাদা ফিরিয়ে আনবে বিজেপি। ১৩ তারিখে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি'।