বাড়তি মাসুল প্রত্যাহার করতে হবে সিইএসসি-কে (CESC)। নইলে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি সিইএসসিই কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নাম করে শুভেন্দু ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে বাড়তি প্রতি ইউনিটের বাড়তি দাম প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন চালাবে বিজেপি।
শুক্রবার ধর্মতলায় সিইএসসি ভবনের সামনে ধর্না দিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দাবি, বিদ্যুৎ সংস্থার অতিরিক্ত মাসুল প্রত্যাহার। ওই এলাকায় বিজেপির ধর্নায় আপত্তি করেছিল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টে গিয়ে শর্তসাপেক্ষে আন্দোলনের অনুমতি নিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারীরা। এ দিন ধর্নামঞ্চে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন,তৃণমূল সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে সিইএসসিই-র। শুভেন্দুর বক্তব্য,'ইলেক্ট্রিক বিলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। তবে সিইএসসি তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে তাপসদার বাড়ির বিল ২০ হাজার ৪০০ টাকা করেছে। এজন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটাও সত্যি কথা বলে না!'
তাঁর সংযোজন,'৪ তারিখের (৪ জুন, লোকসভার ফলপ্রকাশের দিন) পর কী কী বেড়েছে খবর রাখেন তো? নাকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের খবরই রাখেন! পেট্রোল ও ডিজেলে ১ টাকা সেস বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। জমি কেনাবেচায় ২ শতাংশ শুল্ক বেড়েছে। ৩২৮ ইউনিটে যা দিতেন, সেটাই এখন ১২৯ ইউনিটে দিতে হচ্ছে'।
বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে আন্দোলন যে চলবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়,'এটা তো শুরু হল। এ পহলে ঝাঁকি হ্যায়, আভি বিদ্যুৎ ভবন বাকি হ্যায়। অগাস্টে সিইএসসি এলাকায় বিক্ষোভ চলবে। ১ দিন ২ ঘণ্টার বিক্ষোভ নয়। পাঁচদিন লাগাতার সোম থেকে শুক্র ধর্না দেব'। সেই সঙ্গে বাড়তি মাসুল ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সিইএসসিই-কে সময় বেঁধে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,'সিইএসসিই-কে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিলাম। এই মনোপলি ব্যবসার বীজ পুঁতেছিল সিপিএম। সেটা ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে বটবৃক্ষে পরিণত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস'।
সিইএসসিই কর্তার নাম করে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি,'সঞ্জীব গোয়েঙ্কাবাবু হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। আশা করি, বাড়তি মাসুল প্রত্যাহার করবেন, যাতে বিজেপিকে পথে নামতে না হয়'।