
যুবভারতীকাণ্ডে যে ৪ জন দর্শককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই বুধবার আচমকাই সল্টলেক স্টেডিয়ামে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে BJP-র অন্যান্য বিধায়করাও। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে স্টেডিয়ামের অন্দরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্লোগান ওঠে, 'অরূপ বিশ্বাস হায় হায়। অরূপ বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।' একইসঙ্গে মেসির ইভেন্টে আসা দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরতেরও দাবি তোলেন।
এদিন শুভেন্দু জানান, জনগণের টাকায় সংস্কার হওয়া যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ভাঙচুরের জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। স্টেডিয়ামের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'মেসির ইভেন্টে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত কমিটি মানি না। অবিলম্বে দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে এবং অরূপ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করতে হবে।'
মেসি কাণ্ড নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'ক্রীড়ামন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। তিনি বলেন যেসব অনুরাগীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি, তাঁরা টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন তাঁরা যোগ্য। তাঁদের অনেকেই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করেন, উচ্চ শিক্ষিত। অথচ যাঁরা এই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি করল তাদের কিছু করা হয়নি। ২৫ কোটি টাকা এডভ্যান্স কে করেছে? এতে পুরো দলটা যুক্ত।'
শনিবার যুবভারতীতে বিশৃঙ্খল ঘটনার পর থেকে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ঘটনা নিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্যের শাসক দলকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির। ক্ষুব্ধ ফ্যানেরাও। কেন দিল্লি, হায়দরাবাদ ও মহারাষ্ট্র পারলেও, পশ্চিমবঙ্গ মেসিকে ১ ঘণ্টার জন্যও যুবভারতীতে রাখতে পারল না, তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'BJP-কে আনুন। যদি মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পারেন, হায়দরাবাদ যদি পারে, দিল্লিতে যদি রেখা গুপ্তা পারেন, তাহলে আগামী দিনে BJPএলে আমরাও মেসিকে নিয়ে আসব। কীভাবে খেলা করতে হয় তা আমরাও দেখাব। যদি চন্দ্রবাবু নাইডু পারেন, রেখা গুপ্তা আর দেবেন্দ্র ফড়নবিশও পারেন, তবে আগামী দিনে বাংলার BJP মুখ্যমন্ত্রীও পারবেন।'