কলকাতায় মেঘভাঙা বৃষ্টিকে আকস্মিক দুর্যোগ বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবি নাকচ করে রাজ্যকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, আগে থেকেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে। তবে রাজ্য সরকার সতর্ক হলে এতজনের মৃত্যু এড়ানো যেত।
শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসনকে একহাত নেন। লেখেন, 'আবারও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়াবহ দুঃশাসনের কবলে পড়ছে। এই বৃষ্টিপাতকে আকস্মিক বলে নিজের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। মৌসম ভবন আগেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য আগে থেকেই কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। সতর্কতা জারি করা হয়েছিল কলকাতা এবং তার আশপাশে এভাবে বৃষ্টি হওয়ার আগেই।'
শুভেন্দুর অভিযোগ, আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা থাকার পরও সরকার সচেতন হয়নি। আগাম কোনও পদক্ষেপ করেনি। তার জন্য সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি লেখেন, ' সতর্কবার্তা থাকার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস ঘুমিয়েছিলেন। সেই কারণে রাজ্যে বন্যা আসে। মানুষ মারা যান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। রাজ্য সরকারের অবহেলা হল এর কারণ।'
শুভেন্দুর আরও দাবি, CESC সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা নিজের দায় ঝেডডে ফেলার জন্য। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা কেন উপেক্ষা করা হয়েছিল ও পূর্বাভাস থাকার পরও কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তিনি তোলেন মমতা প্রশাসনের কাছে।
প্রসঙ্গত, সকালেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিকজনের মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, 'মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না, জীবনের কোনও বিকল্প হয় না। তবুও আমরা পরিবারের এক জনের চাকরি নিশ্চিত করব। সিইএসসি-কে বলেছি ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে।'