Advertisement

Tangra triple murder case: ট্যাংরা কাণ্ড: 'মরার ভান করে পড়েছিলাম,' সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? নাবালকের বিস্ফোরক বয়ান

ট্যাংরার চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের সামনে নাবালক এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মৃত্যুর হাত থেকে সে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে।

রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্য।-ফাইল ছবিরাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্য।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Feb 2025,
  • अपडेटेड 1:51 PM IST
  • ট্যাংরার চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের সামনে নাবালক এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে।
  • তার বক্তব্য অনুযায়ী, মৃত্যুর হাত থেকে সে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে।

ট্যাংরার চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের সামনে নাবালক এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মৃত্যুর হাত থেকে সে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে।

ঘটনার পুনর্নির্মাণ: কী বলল নাবালক?
নাবালকের দাবি, তাকে এবং তার পরিবারকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চার কারণে তার শরীর এই বিষক্রিয়া সহজেই প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। ফলে সে জ্ঞান না হারিয়ে, মৃতের অভিনয় করে শ্বাস আটকে পড়ে ছিল।

এরপরই তার কাকা তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। তবুও কৌশলে শ্বাস ধরে রেখে সে বেঁচে যায়। পরে যখন সে দোতলায় যায়, তখন দেখে তার মা, কাকিমা ও বোন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, মা ও কাকিমা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় তাদের হত্যা করা হয়।

নাবালক আরও জানিয়েছে, তার বাবা ও কাকা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কারণ তাদের ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পাওনাদারদের চাপে তারা আর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ঘটনার দুই দিন আগেই বাবা এবং কাকা বলেছিলেন, ‘‘মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’’ তবে সেই সময় নাবালক ঘরে থাকলে হয়তো অন্য কোনো উপার্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে পারত বলে তার আক্ষেপ।

নাবালকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত শিশু সুরক্ষা কমিশন
এই ঘটনার পর নাবালককে কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তারা নাবালককে কোনও হোমে পাঠাতে চান না। বরং তার মায়ের পরিবার, বিশেষ করে প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি স্কিম অনুযায়ী, সাবালক হওয়া পর্যন্ত মাসিক ভাতা পাবেন তার দেখভালের দায়িত্ব নেওয়া আত্মীয়রা। যদি তার শ্বশুর-শাশুড়ি দায়িত্ব নিতে রাজি না হন, তবে একটি পরিবার পাওয়া গেছে, যারা স্বেচ্ছায় নাবালককে নিজের পরিবারের অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।

Advertisement

শিশু সুরক্ষা কমিশন সব দিক খতিয়ে দেখে নাবালকের নিরাপত্তা ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ট্যাংরা কাণ্ডের রহস্য এখনো পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি। তদন্ত এগোতে থাকলে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement