Tapan Dutta Murder Case CBI: হাওড়ার তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। ২০১১ সালে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এদিন রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
তপন দত্তর স্ত্রী খুশি এই নির্দেশে
এদিন প্রতিমা দত্ত বলেন, "এটাই চেয়েছিলাম। প্রথম চার্জশিটে বুঝতে পারিনি। তবে সেকেন্ড চার্জশিটে বুঝতে পারলাম সিআইডি মানসিক শান্তিতে নেই। পরে এটা বুঝতে পেরেছিলাম। তাই সিবিআই চেয়েছিলাম।"
তিনি বলেন, "একটা প্রশাসনের লোক, যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলা সম্ভব নয়। আইও-র প্রোমোশন না হয়ে অবনতি হয়েছিল। তখন সিবিআই তদন্তের জন্য এসেছিলাম। আমার মনে হল এই প্রশাসনের মুখে থাপ্পড় মারতে পেরেছি। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের পয়সা নিয়ে তদন্ত করেছে। আমার যা ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?কেউ দেওয়ার নেই।"
প্রতিমাদেবী বলেন, "সপাটে চড় মারতে পেরেছি। খুশি। সিবিআইয়ের ওপর আস্থা রয়েছে। ৪-৫ বছর লাগবে। আমি এগিয়েছি। অন্যায় যারা করেছে, তাদের শাস্তি দিয়েই ছাড়ব। সাংঘাতিক কষ্ট। বাড়িতে থাকি বন্দির মতো। দরদা জানালা খুলতে পারি না। পুলিশ এসে বলে গিয়েছে।"
তিনি অভিযোগ করেন, যারা মার্ডার করল, তারা জামার বোতাম খুলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা ভীষণ লজ্জার। আসামী ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্ষতি যাঁর হয়েছে, সে তালা দিয়ে বসে আসে। মনে হচ্ছে, যে বিচারের দিকে এগোচ্ছিলাম, তার একটা দিকে এগিয়েছে। পুরোটাই পাবো। কিছুটা এগিয়ে এলাম। আশা করছি, আসল দোষীরা শাস্তি পাবে।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, অনেক লড়াই করতে হয়েছে। অপরাধী, খুনিরা চক্রান্ত করে মামলা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করেছে। দ্রুত শুনানি হয়েছে। অত্যন্ত দরকার ছিল। তৃণমূল নেতার খুনের তদন্ত ঠিক মতো করা হয়নি। তা প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে। এই নির্দেশ খুব প্রোয়জনীয় ছিল।
জলাশয় ভরাটের বিরোধিতা
পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে খবর ২০১১ সালের ৬ মে খুন হন হাওড়ার বালি তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, জলাশয় ভরাটের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। আর তাই তাকে খুন করেছে দলের একাংশ। পালাবদলের পর ওই ঘটনা যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
পরে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত ৫ জন খালাস পায়। যদিও পরে সেই রায় খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সেই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে তাঁর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়।