Advertisement

Tathagata Roy: 'বিদায় হয়েছে, ভাল হয়েছে', দিলীপকে 'বাবাজীবন' বলে তীব্র আক্রমণ তথাগতর

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দলের অন্দরেই কড়া আক্রমণের মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। এবার দিলীপের কড়া সমালোচনা করলেন তথাগত রায়। তাঁর দাবি, বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপকে বসানো দলের মারাত্মক ভুল ছিল।

'বিদায় হয়েছে, ভাল হয়েছে', দিলীপকে 'বাবাজীবন' বলে তীব্র আক্রমণ তথাগতর'বিদায় হয়েছে, ভাল হয়েছে', দিলীপকে 'বাবাজীবন' বলে তীব্র আক্রমণ তথাগতর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 May 2025,
  • अपडेटेड 10:12 AM IST
  • বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ
  • রাজ্যের বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ছিলেন সেখানে

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দলের অন্দরেই কড়া আক্রমণের মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। এবার দিলীপের কড়া সমালোচনা করলেন তথাগত রায়। তাঁর দাবি, বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপকে বসানো দলের মারাত্মক ভুল ছিল। তথাগতর আরও দাবি, ২০২১ সালের নির্বাচনে হারের পরে দিলীপ দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে জ্ঞান দিতেন। প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে 'দিলীপ বাবাজীবন' বলেও কটাক্ষ করেন তথাগত।

বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ছিলেন সেখানে। তার পরেই বিজেপির কয়েক জন নেতা তাঁকে কটাক্ষ করেন। তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সুকান্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে দিলীপের যাওয়া দল অনুমোদন করছে না। দিলীপকে নিশানা করেছেন সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা-সহ অনেকেই।

বৃহস্পতিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় তথাগত রায় কড়া ভাষায় দিলীপকে নিশানা করেন। তিনি লেখেন, 'পিএইচডি হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু ন্যূনতম শিক্ষা দীক্ষাটুকু প্রয়োজন। তা ছিল না বলেই দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির মত উচ্চপদে বসানো মারাত্মক ভুল হয়েছিল। মাথা ঘুরে গিয়েছিল, ধরাকে সরা ভাবতে শুরু করেছিল। এদিকে হীনমন্যতাও ছিল, তাই নির্বাচনী হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা কথা লিখেছিলেন। যা দণ্ডনীয় অপরাধ। টিভি চ্যানলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা দেশকে পেচ্ছাব-পায়খানা ছাড়া কিছু দেয়নি। ২০১৯ সালে সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য দেখে সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল, ভুলে গেল সেই বছরই তিনটে উপ নির্বাচনে বিজেপি শূন্য পেল। এই সময় কামিনীকাঞ্চন-আসক্ত এক শিম্পাঞ্জির মত দেখতে বিজেপি নেতার কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ায় দিলীপের সুবিধা হল। নিজেকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিল, দফতর বন্টনও করে দিল। তারপর হেরে যাবার পরে যখন বিজেপি কর্মীরা বেধড়ক মার খেতে লাগল তখন নিজে ১০ জন রক্ষীবেষ্টিত হয়ে তাদের জ্ঞান দিত। বিদায় হয়েছে, ভাল হয়েছে। আমি বৃদ্ধ, অবসরভোগী, দিলীপ বাবাজীবনের সুখী সমৃদ্ধ বিবাহিত জীবন কামনা করি। টাকার তো অভাব নেই! কেবল আমরা যেন একই ভুল আর না করি।' 

Advertisement

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার সকাল হতেই দিঘায় স্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন দিলীপ। সেখান থেকে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। রাজ্য বিজেপিতে বিজেপির লাগাতার হার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'মন্দির যে তৈরি করুক, ভগবান সবার হয়। কালীঘাটের মন্দির কে তৈরি করেছে সবাই ভুলে গেছে, রামমন্দির কে তৈরি করেছে ভুলে যাবে। তবে ভগবানকে কেউ ভুলবে না। পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতে রাজনীতি হয়। আমার মজা লাগছে আমার দলের কিছু লোক লোক খুব কষ্ট পেয়েছেন। হতাশায় ভুগছেন, কেউ ভাবছেন সুইসাইড করবেন কি না। চোখের জল ফেলবেন না। আমরা রক্ত-ঘাম দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছি। বিজেপির কর্মীরা পিছনে তাকায় না। যতদিন সন্দেহ, বিরোধ ছিল না। দল এগিয়েছে। যবে থেকে এই অপসংস্কৃতি ঢুকেছে তখন থেকে পার্টি পিছোচ্ছে। দিলীপ ঘোষ ১০ বছর ধরে রাজনীতি করছে। আমার দিকে আঙুল তোলার হিম্মত নেই। যাদের আমি নিয়ে এসে নেতা করেছি, বিজেপিতে করে খাচ্ছে তাদের বেশি পেটব্যথা হচ্ছে। তারা ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। দলের ওপর ভরসা রাখুন। চিন্তা করার দরকার নেই।'

Read more!
Advertisement
Advertisement