অবশেষে ঘেরাও-মুক্ত হলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ স্কুস সার্ভিস কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তবে এসএসসি চেয়ারম্যানকে ঘেরাও মুক্ত করলেও রাস্তা ছাড়েননি চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য সল্টলেকের আচার্য সদনে এসএসসি অফিসের বাইরে সোমবারের মতো মঙ্গলবারও রাতভর চাকরিহারা শিক্ষকরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন । প্রচণ্ড গরমে সারা রাত আন্দোলন চালিয়েছেন তাঁরা। আর এসএসসি অফিসের ভিতরে ঘেরাও হয়ে ২ রাত আটকেছিলেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার–সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক। অবশেষে এদিন সকালে ঘেরাও মুক্ত হলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার।
হাইকোর্টে মামলায় যাতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন, সে জন্য শর্তসাপেক্ষে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে বেরোতে দিয়েছেন চাকরিহারারা। তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধার্থ মজুমদারকে বেরোতে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা নিজের দফতরেই বন্দি ছিলেন সিদ্ধার্থ-সহ এসএসসির অন্যান্য আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, সোমবারের পর মঙ্গলবার ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষকরা। এদিনের বৈঠকের পর তাঁর সাফ জানিয়ে দেন, আপাতত আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছেন না। তেমন কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। একইসঙ্গে চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষকদের হুঁশিয়ারি, তাঁরা যাতে তাঁদের অবসর নেওয়ার বয়সের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সসম্মানে নিজেদের চাকরি করে যেতে পারেন, সেটা এসএসসি, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, রাজ্য শিক্ষা দফতর এবং সর্বোপরি রাজ্য সরকারকে যেকোনও মূল্যে নিশ্চিত করতেই হবে।
মঙ্গলবার সন্ধের বৈঠকের পর এসএসসি কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তাঁরা স্পষ্ট জানান, তাঁরা একাধিক বিষয়ে স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এসএসসি চেয়ারম্য়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলেও সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। সোমবার থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থানে বসে রয়েছেন চাকরিহারারা।