তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস মানেই 'ডিম্ভাত'। সহজে রাঁধা ডিমের ঝোল আর ভাত দেওয়া হয় দূর-দূরান্ত থেকে দলনেত্রীর ভাষণ শুনতে আসা জোড়াফুল কর্মী-সমর্থকদেক। একুশে জুলাইয়ের সঙ্গে এই ডিম-ভাত যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে বিগত কয়েক বছর ধরে। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে ট্রোলের শিকারও হতে হয়। অথচ প্রতিবারই তৃপ্তি করে ডিম-ভাত খেতে দেখা যায় ধর্মতলায় আসা মমতা অনুগামীদের। এবারের মেনুতে অবশ্য খানিক বদল এসেছে। পাতে আর কী কী পড়ছে?
পূর্ব মেদিনীপুর
রবিবার থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থকরা মেগা ইভেন্টে যোগদানের জন্য কলকাতামুখী হয়েছেন। তাঁদের সকলের জন্যই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা তৃণমূল সংগঠনের পক্ষ থেকে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব এবারের মেনুতে একটু বদল এনেছে। ডিম-ভাতের বদলে এবার মাংস রেঁধে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের জন্য। তমলুক থেকে আসা ৪ হাজার কর্মী-সমর্থকের জন্য রান্না করা হয়েছে ৮ কুইন্টাল মাংস। আবার মহিষাদলের এক চিকেন বিক্রেতার কাছে অর্ডার ছিল ৫০০ কেজি মাংসের।
কলকাতা
একুশের সমাবেশে যোগদানকারী সকলেই কলকাতায় ছড়িয়ে থাকা তৃণমূলের শিবিরগুলি থেকে ডিম-ভাত খাওয়ার সুযোগ পান। তবে এবার কলকাতার বিভিন্ন শিবিরে ডিম-ভাত ছাড়াও থাকছে আলুভাজা, চিকেন আর চাটনি। ধর্মতলা ঢোকার আগেই খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলবেন সকলে। আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে তৃণমূলকর্মীদের জন্য থাকা ও খাওয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারে গরম ভাত, ডাল, ডিমের তরকারি দেওয়া হয়েছে। উত্তীর্ণ সভাগৃহের তিনটি ফ্লোরেই দলীয় কর্মীদের থাকার বন্দোবস্ত ছিল।
হাওড়া
হাওড়ার সালকিয়ার শ্রীরাম বাটিকা, শ্যাম গার্ডেন–সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাতে থাকা–খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেখানে মেনু ভাত এবং ডিম আলুর ঝোল। প্রায় ২০ হাজার লোকের থাকা–খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল সেখানে। সোমবার সকালের মেনু অবশ্য খিচুড়ি।
ডায়মন্ড হারবার
ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা থেকে ৩০ হাজার কর্মী সমর্থক সমাবেশে হাজির হবে বলে জানা গিয়েছে। সকালে এবং দুপুরে কর্মী সমর্থকদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রত্যেকটা বুথ এবং ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে। সকালের টিফিনে থাকছে কলা, রুটি, ডিমসিদ্ধ আর দুপুরে কোথাও থাকছে চিকেন বিরিয়ানি, কোথাও আবার মাছ-ভাত, আবার কোথাও মাংস ভাত।