দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের অন্দরে ফাটল আরও কি বাড়ল? দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সুব্রতর শব্দ চয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আজ তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, 'এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। তিনি যদি লড়াই করেন, তাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবেন। আমরা নিশ্চিত যে তিনি জোড়াফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন।'
অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে। মমতা আছেন বলেই দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় থাকে বাংলা।'আর এই দুই মন্তব্যের পরেই অভিষেক বনাম মমতা ফাটল ক্রমেই চওড়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, সূত্রের খবর লোকসভা নির্বাচনের সময় নিজেকে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। দলের সাংগঠনিক বা নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত কোনও বিষয়েও জড়াতে চান না। সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য অভিষেককে বুঝিয়েও পারা যায়নি বলে খবর। আর সেই কারণ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই কি অভিমানী অভিষেক?
সুব্রত বক্সীর বক্তব্য নিয়ে নিজের অসন্তোষ চেপে রাখেননি দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পাল্টা তিনি বলেন, 'দলের রাজ্য সভাপতিকে আমরা সম্মান করি। যদিও তাঁর বাক্যগঠন নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। তাঁর কথা শুনলে দলেরই মঙ্গল হবে।'
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও এদিন বিস্ফোরক হন কুণাল। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লিতে অভিষেকের আন্দোলনের তীব্র ঝাঁঝের কথা সবাই জানেন। সেখানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এই কথাটা বলবেন?'