তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠল দমদমে। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী তথা দমদম পুরসভার কাউন্সিলর কাকলি সেনের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ ঘিরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে দমদমে।
জানা গিয়েছে, শান্তনুর স্ত্রীর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ। সূত্রের খবর, ওই কর্মীরা অতীন ঘোষের অনুগামী। ৬ নম্বর দমদম রোডে একাধিক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। কাকলি ও তাঁর স্বামী শান্তনুর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এক বৃদ্ধাকে চড় মারেন কাকলি। সেই সময় সেখানে শান্তনুও ছিলেন বলে দাবি। কাউন্সিলর হিসাবে কীভাবে আইন হাতে তুলে নিতে পারেন, তা নিয়েই সরব হয়েছেন তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সিঁথি থানা ঘেরাও করা হবে। শান্তনু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁরা আইনের পথে হাঁটছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম ষষ্ঠী ঘোষ (৫৫)। তাঁর বাড়ি ভরতপুর থানার আলুগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেহালাই গ্রামে।জানা গিয়েছে, বুধবার রাত আটটা নাগাদ শুনিয়া গ্রামের কাছে কুয়ে নদীর বাঁধের ধার থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের স্ত্রী শ্যামলী ঘোষ জানান, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ষষ্ঠি মাঠের কাজের জন্য শ্রমিক দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপর রাত আটটা নাগাদ তাঁদের কাছে খবর আসে যে, বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে কুয়ে নদীর বাঁধের ধারে তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।