স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চেয়েও বড় সুবিধাভোগী শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার এই দাবিই করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা-নারদা ও রোজভ্যালি-কাণ্ডেও শুভেন্দুর যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। অভিষেকের কথায়,'সুদীপ্ত সেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে একবারও ডাকেনি সিবিআই।'
তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা সোনা পাচারের অভিযোগেরও জবাব দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়,'এয়ারপোর্টে ৫০০টা সিসিটিভি আছে। ১০ সেকেন্ডের ফুটেজ দেখাতে পারবেন আমার স্ত্রীর কাছ থেকে ২ গ্রামের সোনা উদ্ধার হয়েছে? সিআইএসএফ তো অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীনে। খালি মানুষকে কালিমালিপ্ত করা। ওরা যেমন অন্য মানুষকে তেমনভাবে।'
অভিষেক বলেন,'নিজের পরিবার পা থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। যারা ত্রিপল চুরিতে অভিযুক্ত তাদের কাছ থেকে সততার ভাষণ শুনতে হবে! বিজেপির অন্য নেতা বললে তা-ও শুনতাম। কিন্তু যাদের টিভির পর্দায় বেহায়ার মতো টাকা নিয়েছে, সুদীপ্ত সেন একাধিকবার অভিযোগ করেছে, তাদের কাছ থেকে সততার ভাষণ শুনতে হবে। সারদা, নারদা, রোজভ্যালিতে নাম রয়েছে। সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি তার নাম হল শুভেন্দু অধিকারী।'
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন,'তদন্ত ঠিকভাবে হচ্ছে না। ৯ বছর ধরে সারদার তদন্ত করছে, নির্যাস কী? কয়লাকাণ্ডের তদন্ত ৩ বছর হয়ে গেল নির্যাস কী? এসএসসি-র তদন্ত ১ বছর ধরে চলছে অথচ যোগ্যরা এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে! সুদীপ্ত সেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে একবারও ডাকেনি সিবিআই।'
নবজোয়ার কর্মসূচিতে বাধা দিতেই ইডি-সিবিআই-কে বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়,'নবজোয়ারে মানুষের স্হতঃস্ফূর্তা দেখে এদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ইডি, সিবিআইয়ের ভয় দেখাচ্ছে, ধমকাচ্ছে, চমকাচ্ছে।'