২০২৪ সালের আগে মোদীর বিরুদ্ধে কি একজোট হতে পারবে বিরোধী দলগুলি? রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিরোধী নেতানেত্রীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব। এবার তৃণমূল খোলাখুলি জানিয়ে দিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলায় মহাজোটের দরকার নেই।
কোনও ব্যক্তিকে সামনে রেখে মহাজোট হলে নরেন্দ্র মোদী 'অ্যাডভান্টেজ' পেয়ে যাবেন বলে মত রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের। তাঁর যুক্তি,'নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কোনও মুখকে দাঁড় করানো হলে প্রধানমন্ত্রী সুবিধা পেয়ে যাবেন। প্রতিটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী। তারা বিজেপির মোকাবিলা করবে। যেমন বাংলায় দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তেলেঙ্গানা, তামিলানাড়ুতেও আছেন শক্তিশালী নেতারা। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র বাদে আর কোনও রাজ্যে মহাজোটের প্রয়োজন নেই।'
ঘটনা হল, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন,'যে যেখানে পারবে বিজেপিকে হারানোর জন্য লড়াই করবে। ভোটের পর একজোট হবে।' রাজনৈতিক মহলের মতে, হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য বাদে মহাজোট করে লাভের লাভ হবে না। বাংলায় বাম ও কংগ্রেস শক্তিহীন। গত বিধানসভা ভোটে একটিও আসন পায়নি। লোকসভা ভোটেও তার পুনরাবৃত্তি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। একইভাবেই পঞ্জাব, দিল্লিতে আপ, তেলেঙ্গানায় টিআরএস এবং উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি শক্তিশালী। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, অসম, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে আবার বিজেপি বনাম কংগ্রেস।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় কাউকে আসন ছাড়তে রাজি নন, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ৪২ আসনেই লড়াই করবে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল সূত্রের খবর,ভোটের আগে মহাজোট হলে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। ২০১৯ সালে মহাজোটের চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আবার সেই চেষ্টা হলে বিজেপির জয়ের পথ সুগম করে দেওয়া হবে। তার উপরে মহাজোটের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মোদীর বিরুদ্ধে রাহুলের মুখ যে চলবে না তা গত কয়েকটি নির্বাচনে স্পষ্ট করে দিয়েছে জনাদেশ। ফলে মোদীর বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলি লড়াই দিক। ভোটের ফল অনুকূল হলে জোট বাঁধতে বেশি সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন- সোমে বৈঠকে মমতা, দুর্গাপুজোয় এবারও কি ৫০ হাজার অনুদান?