Kunal Ghosh On Pm Modi Kolkata: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের পরই তৃণমূলের তরফে সেই সমস্ত বিবৃতির কাউন্টার আক্রমণে নামল তৃণমূল নেতৃত্ব। তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। এদিন কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি পাল্টা বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদী কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়েছেন। কারণ, যেসব দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন, সেগুলোর ভিত্তিহীনতা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। উল্টে বিজেপির গায়েই দুর্নীতির কালিমা লেগে রয়েছে।"
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্যের ভিডিওর সঙ্গে পুরনো নারদা কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিও কোলাজ করে সাংবাদিক বৈঠকে দেখান কুণাল-ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, "মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তাঁদের পদ যাবে যে বিল আনার কথা বলছেন, ক্ষমতা থাকলে আগে যাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি এক সময় দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল, তাঁদের বহিষ্কার করে দেখান। তাঁদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন, অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সবাইকে সেভাবে করুন।"
কুনালের কটাক্ষ, বিজেপি বাংলার মাটিতে যতবার প্রধানমন্ত্রীকে আনবে, ততবার তৃণমূলের আসন বাড়বে। লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিজেপির আসন কমেছে আর তৃণমূলের আসন বেড়েছে। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।
তিনি বলেন, "সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে যে দায় কেন্দ্রীয় সরকারের, তার ব্যাখ্যায়ও মোদি নিজের বক্তব্য খারিজ করেছেন। বারবার প্রশ্ন উঠলেও তার একটি উত্তরও দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ও উৎসব নিয়েও বিজেপি গতকাল যা বলে, আজ আবার তার থেকে সরে আসে। দুর্গাপুজো হয় না বলে যে দল একসময় প্রচার চালিয়েছিল, তারাই আজ বলছে দুর্গাপুজোর মরশুম শুরু হয়ে গেছে। এটা বাংলার সম্পর্কে প্রকাশ্য মিথ্যাচার।
কুনালের প্রশ্ন, বাংলার মানুষ কাজের জন্য বাইরে গেলে সেটাই বিজেপির চোখে অপরাধ! অথচ প্রধানমন্ত্রী কি সাহস রাখেন বলতে, দেশের কোনও মানুষ নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করবেন না? বাস্তবে বাংলার বাইরে প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ কর্মসূত্রে রয়েছেন। আবার বাংলায় অন্য রাজ্যের দেড় কোটিরও বেশি মানুষ কাজ করছেন। তাহলে কেবল বাংলাকেই কেন নিশানা করা হচ্ছে?
তাঁর আক্রমণ ছিল আরও তীক্ষ্ণ। লকডাউনের সময় যে প্রথম পরিযায়ী শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছিল, সে ছিল ছত্তিশগড়ের ১৩ বছরের এক কন্যা। যিনি তেলেঙ্গানার খেতে কাজ করতেন, বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয়েছিল তার। বাংলার সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না। তবু বারবার বিজেপি বাংলাকেই আঙুল তোলে। কটাক্ষ কুনাল ঘোষের।
তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য মিথ্যা অভিযোগ আনেন। একদিন কিছু বলেন, পরদিন তার বিপরীতে দাঁড়াতে হয়। এভাবেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষ সব দেখছে, সব বুঝছে। তাই বিজেপির মিথ্যা প্রচার আর কাজ দেবে না।